অনেকাৰ্থক পক্ষ দোষ বা অনেকাৰ্থক দোষ কাকে বলে । what do you mean by anekantha pakhadosh or anekantha dosh


অনেকাৰ্থক পক্ষ দোষ:- কোন ন্যায় অনুমানে ‘পক্ষ’ পদ যদি অপ্রধান যুক্তবাক্যে ও সিদ্ধান্তে ভিন্ন দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয় তবে ‘অনেকার্থক পক্ষ দোষ’ দেখা দেবে। যেমন

A - সকল বস্তু যা ক্ষণস্থায়ী তা হয় মূল্যহীন।

A- ‘দন্ড’ হয় ক্ষনস্থায়ী।

A -‘দন্ড’ হয় মূল্যহীন।

অতএব,

এই অনুমানটিতে ‘কালের বিভাগ’ ও সিদ্ধান্তে ‘শাস্তি’ অর্থে ব্যবহৃত হওয়ায় ‘অবৈধ পক্ষ দোষ’ দেখা দিয়েছে।

দ্বিতীয় নিয়ম : “একটি বৈধ আকারের নিরপেক্ষ ন্যায়ে হেতুপদটিকে যুক্তিবাক্যদুটির যে কোন একটিতে অন্ততঃ একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। একটি ন্যায়ের সিদ্ধান্তধে পক্ষপদ ও সাধ্যপদের মধ্যে সম্বন্ধের ঘোষনা করা হয়। এর জন্য প্রয়োজন যুক্তিবাক্য দুটিতে ঐ দুটি পদের সঙ্গে তৃতীয় একটি পদ অর্থাৎ হেতুপদের সম্বন্ধ থেকে। হেতুপদের মাধ্যমেই সাধ্যপদ ও পক্ষপদের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপিত হয়।”

সিদ্ধান্তে পক্ষ ও সাধ্য পদের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপিত হতে গেলে ঐ দুট পদের যে কোন একটির সঙ্গে হেতুপদ নির্দেশিত সমগ্র শ্রেণীর সম্পর্ক থাকতে হবে , না হলে হেতুপদের এক অংশের সঙ্গে সাধ্যপদের ও অন্য অংশের সঙ্গে পক্ষপদের সম্বন্ধ স্থাপিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্তে সাধ্য ও পক্ষের মধ্যে সদর্থক বা নঞর্থক কোন সম্বন্ধই স্থাপন করতে পারি না। হেতুপদের নির্দেশিত শ্রেণীর সদস্যের সঙ্গে অর্থাৎ সমগ্র শ্রেণির সঙ্গে কোন একটি পদের সম্বন্ধ থাকার অর্থ হেতু পদের ব্যাপ্য হওয়া। এই জন্য দ্বিতীয় নিয়মে বলা হচ্ছে হেতুপদটিকে দুটি যুকতিবাক্যের যে কোন একটিতে অন্ততঃ একবার অবশ্যই ব্যাপ্য হতে হবে ।যদি এই নিয়ম লঙ্ঘন করা হবে অর্থাৎ যদি হেতুপদটি যদি দুটি যুক্তিবাক্যের কোনটিতেই ব্যাপ্য না হয় তবে ‘অব্যাপ্য হেতু দোষ’ দেখা দেয়, যেমন

অব্যাপ্য হেতু দোষ:

A - সকল ছাগল হয় চতুষ্পদী। A- সকল গরু হয় চতুষ্পদী।

অতএব, A- সকল গরু হয় ছাগল।

এই অনুমানটিতে ‘চতুষ্পদী' এই হেতুপদটি প্রধান ও অপ্রধান উভয় যুক্তিবাক্যেই A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি, কারণ A বচনের শুধুমাত্র উদ্দেশ্য ব্যাপ্য। অতএব, নিরপেক্ষ ন্যায়টি অব্যাপ্য হেতুদোষে দুষ্ট।

তৃতীয় নিয়ম : “একটি বৈধ আদর্শ আকারের নিরপেক্ষ ন্যায়ে যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সেপদ সিদ্ধান্তেও ব্যাপ্য হতে পারে না। অন্যভাবে বলা যায়, যে পদটি সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে সে পদটিকে যুক্তিবাক্যেও ব্যাপ্য হতে হবে।”

একট বৈধ যুক্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্যগুলি থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। বৈধযুক্তির সিদ্ধান্ত এমন কিছু ঘোষনা করতে পারে না যা যুক্তিবাক্য দুটির মধ্যে নিহিত নেই, যদি সিদ্ধান্ত এমন কিছু ঘোষনা করে যা যুক্তিবাক্য দুটিতে ঘোষনা করা হয় নি তাহলে ঐ যুক্তিটি অবৈধ হবে।সিদ্ধান্তে কোন একটি পদের (সাধ্য বা পক্ষ) সম্পর্কে, যুকতি বাক্যে যা বলা হয়েছে তার অতিরিক্ত কিছু বলা হলে, সেটি হবে একটি অবৈধ প্রক্রিয়া। কোন একটি পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্যহওয়ার অর্থ ঐ পদটি সম্পর্কে যুক্তিবাক্যে যা বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তে তার অতিরিক্ত কিছু বলা হচ্ছে।

দোষ : তৃতীয় নিয়মটি লঙ্ঘন করলে দু-ধরনের দোষ দেখা দেয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال