জৈন দর্শনের উপর বিস্তারিত আলোচনা ও MCQ
এই নথিতে জৈন দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর আলোচনা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ১৫০টিরও বেশি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) উত্তর ও ব্যাখ্যাসহ প্রদান করা হলো।
এই নথিতে জৈন দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর আলোচনা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ১৫০টিরও বেশি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) উত্তর ও ব্যাখ্যাসহ প্রদান করা হলো।
জৈন দর্শন - সংক্ষিপ্ত আলোচনা
১. মূল ভিত্তি
নাস্তিক সম্প্রদায়: জৈন দর্শন বেদকে জ্ঞানের চূড়ান্ত উৎস হিসেবে মানে না, তাই এটি নাস্তিক দর্শন হিসেবে পরিচিত।
মূল সূত্র:
অনেকান্তবাদ (আধিবিদ্যক মত): এই মতবাদ অনুসারে, প্রতিটি বস্তুর অনন্ত বা অসংখ্য ধর্ম রয়েছে। কোনো একক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বস্তুর পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ জানা সম্ভব নয়।
স্যাদবাদ (জ্ঞানতাত্ত্বিক মত): এই মতবাদ অনুসারে, আমাদের জ্ঞান সর্বদা আপেক্ষিক এবং একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে সত্য।
নাস্তিক সম্প্রদায়: জৈন দর্শন বেদকে জ্ঞানের চূড়ান্ত উৎস হিসেবে মানে না, তাই এটি নাস্তিক দর্শন হিসেবে পরিচিত।
মূল সূত্র:
অনেকান্তবাদ (আধিবিদ্যক মত): এই মতবাদ অনুসারে, প্রতিটি বস্তুর অনন্ত বা অসংখ্য ধর্ম রয়েছে। কোনো একক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বস্তুর পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ জানা সম্ভব নয়।
স্যাদবাদ (জ্ঞানতাত্ত্বিক মত): এই মতবাদ অনুসারে, আমাদের জ্ঞান সর্বদা আপেক্ষিক এবং একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে সত্য।
২. স্যাদবাদ ও সপ্তভঙ্গী নয়
নয়: কোনো বস্তু সম্পর্কে আংশিক জ্ঞান বা সেই জ্ঞানের প্রকাশক বচন।
দুর্নীতি: আংশিক জ্ঞানকেই সম্পূর্ণ বা চূড়ান্ত সত্য বলে মনে করার ভুল।
প্রমাণ: আংশিক সত্যকে তার আপেক্ষিক প্রকৃতি স্বীকার করে জানা।
সপ্তভঙ্গী নয়: কোনো বস্তুর অস্তিত্বকে সাতটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকাশ করার পদ্ধতি। এগুলি হলো:
১. স্যাত অস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে।
২. স্যাত নাস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে নেই।
৩. স্যাত অস্তি চ নাস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং নেই (ক্রমিক)।
৪. স্যাত অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনাতীত।
৫. স্যাত অস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
৬. স্যাত নাস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে নেই এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
৭. স্যাত অস্তি চ নাস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে, নেই এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
নয়: কোনো বস্তু সম্পর্কে আংশিক জ্ঞান বা সেই জ্ঞানের প্রকাশক বচন।
দুর্নীতি: আংশিক জ্ঞানকেই সম্পূর্ণ বা চূড়ান্ত সত্য বলে মনে করার ভুল।
প্রমাণ: আংশিক সত্যকে তার আপেক্ষিক প্রকৃতি স্বীকার করে জানা।
সপ্তভঙ্গী নয়: কোনো বস্তুর অস্তিত্বকে সাতটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকাশ করার পদ্ধতি। এগুলি হলো:
১. স্যাত অস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে।
২. স্যাত নাস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে নেই।
৩. স্যাত অস্তি চ নাস্তি: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং নেই (ক্রমিক)।
৪. স্যাত অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনাতীত।
৫. স্যাত অস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
৬. স্যাত নাস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে নেই এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
৭. স্যাত অস্তি চ নাস্তি চ অবক্তব্যম: কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে, নেই এবং বর্ণনাতীত (যুগপৎ)।
৩. দ্রব্য (বস্তু)
দ্রব্য হলো গুণ (নিত্য ধর্ম) ও পর্যায় (অনিত্য বা পরিবর্তনশীল ধর্ম) বিশিষ্ট বস্তু। এটি দুই প্রকার:
অস্তিকায়: যা দেশ বা স্থান জুড়ে থাকে। এটি পাঁচ প্রকার: জীব (আত্মা), পুদগল (জড়), ধর্ম (গতির সহায়ক), অধর্ম (স্থিতির সহায়ক), এবং আকাশ (স্থান)।
অনস্তিকায়: যা দেশ জুড়ে থাকে না। এটি এক প্রকার: কাল (সময়)।
দ্রব্য হলো গুণ (নিত্য ধর্ম) ও পর্যায় (অনিত্য বা পরিবর্তনশীল ধর্ম) বিশিষ্ট বস্তু। এটি দুই প্রকার:
অস্তিকায়: যা দেশ বা স্থান জুড়ে থাকে। এটি পাঁচ প্রকার: জীব (আত্মা), পুদগল (জড়), ধর্ম (গতির সহায়ক), অধর্ম (স্থিতির সহায়ক), এবং আকাশ (স্থান)।
অনস্তিকায়: যা দেশ জুড়ে থাকে না। এটি এক প্রকার: কাল (সময়)।
৪. পরমাণুবাদ (পুদগলবাদ)
পরমাণু হলো জড় জগতের মূল উপাদান।
বৈশিষ্ট্য: পরমাণু নিত্য (চিরস্থায়ী), নিরংশ (অবিভাজ্য) এবং অচ্ছেদ্য।
জৈন মতে, সব পরমাণু গুণগতভাবে এক; তাদের মধ্যে স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণই বর্তমান।
পরমাণুর সংযোগে স্কন্ধ (যৌগিক বস্তু) তৈরি হয়। শব্দও পুদগলের পরিণাম।
পরমাণু হলো জড় জগতের মূল উপাদান।
বৈশিষ্ট্য: পরমাণু নিত্য (চিরস্থায়ী), নিরংশ (অবিভাজ্য) এবং অচ্ছেদ্য।
জৈন মতে, সব পরমাণু গুণগতভাবে এক; তাদের মধ্যে স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণই বর্তমান।
পরমাণুর সংযোগে স্কন্ধ (যৌগিক বস্তু) তৈরি হয়। শব্দও পুদগলের পরিণাম।
৫. বন্ধন ও মুক্তি
বন্ধন: কর্মের কারণে আত্মার সংসার দশায় আবদ্ধ থাকাই বন্ধন। এটি দুই প্রকার:
ভাব বন্ধন: কষায় (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ) দ্বারা আত্মার কলুষিত হওয়া।
দ্রব্য বন্ধন: ভাব বন্ধনের ফলে কর্মপুদগলের আত্মার সাথে যুক্ত হওয়া।
আশ্রব: কর্মপুদগল আত্মায় প্রবেশের পথ।
সংবর: নতুন কর্মের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করা।
নির্জরা: পূর্বসঞ্চিত কর্মপুদগলকে তপস্যা ও সাধনার মাধ্যমে ক্ষয় করা।
মুক্তি: কর্মের বন্ধন থেকে আত্মার সম্পূর্ণ মুক্তি। এটি দুই প্রকার: জীবন মুক্তি (দেহ থাকা অবস্থায়) ও বিদেহ মুক্তি (দেহ ত্যাগের পর)।
মুক্তির উপায় (ত্রিরত্ন):
১. সম্যক দর্শন: তীর্থঙ্করদের প্রতি বিচারমূলক বিশ্বাস।
২. সম্যক জ্ঞান: জীব, অজীব ইত্যাদি তত্ত্বের সঠিক জ্ঞান।
৩. সম্যক চারিত্র: পঞ্চমহাব্রত পালনের মাধ্যমে নৈতিক জীবনযাপন।
বন্ধন: কর্মের কারণে আত্মার সংসার দশায় আবদ্ধ থাকাই বন্ধন। এটি দুই প্রকার:
ভাব বন্ধন: কষায় (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ) দ্বারা আত্মার কলুষিত হওয়া।
দ্রব্য বন্ধন: ভাব বন্ধনের ফলে কর্মপুদগলের আত্মার সাথে যুক্ত হওয়া।
আশ্রব: কর্মপুদগল আত্মায় প্রবেশের পথ।
সংবর: নতুন কর্মের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করা।
নির্জরা: পূর্বসঞ্চিত কর্মপুদগলকে তপস্যা ও সাধনার মাধ্যমে ক্ষয় করা।
মুক্তি: কর্মের বন্ধন থেকে আত্মার সম্পূর্ণ মুক্তি। এটি দুই প্রকার: জীবন মুক্তি (দেহ থাকা অবস্থায়) ও বিদেহ মুক্তি (দেহ ত্যাগের পর)।
মুক্তির উপায় (ত্রিরত্ন):
১. সম্যক দর্শন: তীর্থঙ্করদের প্রতি বিচারমূলক বিশ্বাস।
২. সম্যক জ্ঞান: জীব, অজীব ইত্যাদি তত্ত্বের সঠিক জ্ঞান।
৩. সম্যক চারিত্র: পঞ্চমহাব্রত পালনের মাধ্যমে নৈতিক জীবনযাপন।
৬. পঞ্চমহাব্রত
সন্ন্যাসীদের জন্য পালনের পাঁচটি কঠোর ব্রত:
১. অহিংসা: কোনো প্রাণীকে আঘাত না করা।
২. সত্য: সর্বদা সত্য কথা বলা।
৩. অস্তেয়: চুরি না করা।
৪. ব্রহ্মচর্য: সংযম পালন।
৫. অপরিগ্রহ: প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্তু বা আসক্তি ত্যাগ করা।
(গৃহস্থদের জন্য এর সরলীকৃত রূপকে অনুব্রত বলা হয়)
সন্ন্যাসীদের জন্য পালনের পাঁচটি কঠোর ব্রত:
১. অহিংসা: কোনো প্রাণীকে আঘাত না করা।
২. সত্য: সর্বদা সত্য কথা বলা।
৩. অস্তেয়: চুরি না করা।
৪. ব্রহ্মচর্য: সংযম পালন।
৫. অপরিগ্রহ: প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্তু বা আসক্তি ত্যাগ করা।
(গৃহস্থদের জন্য এর সরলীকৃত রূপকে অনুব্রত বলা হয়)
জৈন দর্শনের উপর MCQ
স্যাদবাদ ও অনোন্তবাদ
১. স্যাদবাদের মূল ধারণা কী?
a) সত্য একমাত্র এবং অপরিবর্তনীয়
b) সত্য আপেক্ষিক এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল
c) সত্য বর্ণনাতীত এবং অজ্ঞেয়
d) সত্য কেবল ঈশ্বরের দ্বারা জানা যায়
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ জৈন দর্শনের জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ, যা বলে যে সত্য আপেক্ষিক এবং নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে আংশিকভাবে সত্য।
২. অনোন্তবাদ কোন ধরনের মতবাদ?
a) জ্ঞানতাত্ত্বিক
b) আধিবিদ্যক
c) নৈতিক
d) তর্কবিদ্যক
ব্যাখ্যা: অনোন্তবাদ বস্তুর অসংখ্য ধর্মের ধারণা দেয়, যা সত্তাতত্ত্ব বা আধিবিদ্যার অংশ।
৩. জৈন দর্শনে 'নয়' বলতে কী বোঝায়?
a) সম্পূর্ণ জ্ঞান
b) আংশিক জ্ঞান বা তার প্রকাশক বচন
c) মিথ্যা ধারণা
d) অজ্ঞেয়তা
ব্যাখ্যা: নয় হলো আংশিক জ্ঞান বা কোনো বস্তু সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেওয়া বচন।
৪. 'দুর্নীতি' বলতে জৈন দর্শনে কী বোঝায়?
a) নৈতিক অবক্ষয়
b) আংশিক জ্ঞানকে সামগ্রিক সত্য বলে ভুল করা
c) সত্যকে অস্বীকার করা
d) ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস
ব্যাখ্যা: দুর্নীতি হলো যখন কেউ আংশিক জ্ঞানকে সম্পূর্ণ বা চূড়ান্ত সত্য বলে মনে করে।
৫. 'প্রমাণ' বলতে জৈন দর্শনে কী বোঝায়?
a) সত্যের নিশ্চিতকরণ
b) আংশিক সত্যকে আংশিক হিসেবে জানা
c) জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি
d) ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ
ব্যাখ্যা: প্রমাণ হলো যখন আংশিক সত্যকে তার আপেক্ষিক প্রকৃতি স্বীকার করে জানা হয়।
৬. স্যাদবাদকে কী বলা যায় না?
a) আপেক্ষিকতাবাদ
b) সংশয়বাদ বা অজ্ঞেয়বাদ
c) বহুত্ববাদ
d) জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ হলো আপেক্ষিকতাবাদ, যা সত্যের বহুমুখীতাকে স্বীকার করে, কিন্তু এটি সংশয়বাদ বা অজ্ঞেয়বাদ নয়।
৭. অনোন্তবাদ বোঝাতে কোন উপমা ব্যবহার করা হয়?
a) নদী ও সাগর
b) অন্ধ ব্যক্তি ও হাতির উপমা
c) সূর্য ও চন্দ্র
d) পাখির উড়া
ব্যাখ্যা: অন্ধ ব্যক্তি ও হাতির উপমা দিয়ে বোঝানো হয় যে ভিন্ন দর্শন আংশিক সত্য ধরে।
৮. স্যাদবাদের সাথে কোন মতবাদ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত?
a) পুদগলবাদ
b) অনোন্তবাদ
c) ন্যায়বাদ
d) বৈশেষিকবাদ
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ অনোন্তবাদের জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রয়োগ।
৯. স্যাদবাদ কোন ধরনের সমস্যার সমাধান দেয়?
a) সত্যের একমাত্রতা
b) বিপরীত ধর্মের সমন্বয়
c) ঈশ্বরের অস্তিত্ব
d) কর্মের প্রকার
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ বিপরীত ধর্মগুলোর (যেমন অস্তি-নাস্তি) সমন্বয় করে বহুমুখী সত্য ব্যাখ্যা করে।
১০. জৈন মতে "অনেকান্তবাদ" কী?
a) বস্তুর একটিমাত্র ধর্ম থাকা
b) বস্তুর অনন্ত ধর্ম থাকা; কোনো একক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ সত্য নয়
c) সত্যের অজ্ঞেয়তা
d) ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার
ব্যাখ্যা: অনেকান্তবাদ হলো জৈন দর্শনের আধিবিদ্যক মতবাদ যা বলে যে বস্তুর অসংখ্য ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
১. স্যাদবাদের মূল ধারণা কী?
a) সত্য একমাত্র এবং অপরিবর্তনীয়
b) সত্য আপেক্ষিক এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল
c) সত্য বর্ণনাতীত এবং অজ্ঞেয়
d) সত্য কেবল ঈশ্বরের দ্বারা জানা যায়
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ জৈন দর্শনের জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ, যা বলে যে সত্য আপেক্ষিক এবং নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে আংশিকভাবে সত্য।
২. অনোন্তবাদ কোন ধরনের মতবাদ?
a) জ্ঞানতাত্ত্বিক
b) আধিবিদ্যক
c) নৈতিক
d) তর্কবিদ্যক
ব্যাখ্যা: অনোন্তবাদ বস্তুর অসংখ্য ধর্মের ধারণা দেয়, যা সত্তাতত্ত্ব বা আধিবিদ্যার অংশ।
৩. জৈন দর্শনে 'নয়' বলতে কী বোঝায়?
a) সম্পূর্ণ জ্ঞান
b) আংশিক জ্ঞান বা তার প্রকাশক বচন
c) মিথ্যা ধারণা
d) অজ্ঞেয়তা
ব্যাখ্যা: নয় হলো আংশিক জ্ঞান বা কোনো বস্তু সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেওয়া বচন।
৪. 'দুর্নীতি' বলতে জৈন দর্শনে কী বোঝায়?
a) নৈতিক অবক্ষয়
b) আংশিক জ্ঞানকে সামগ্রিক সত্য বলে ভুল করা
c) সত্যকে অস্বীকার করা
d) ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস
ব্যাখ্যা: দুর্নীতি হলো যখন কেউ আংশিক জ্ঞানকে সম্পূর্ণ বা চূড়ান্ত সত্য বলে মনে করে।
৫. 'প্রমাণ' বলতে জৈন দর্শনে কী বোঝায়?
a) সত্যের নিশ্চিতকরণ
b) আংশিক সত্যকে আংশিক হিসেবে জানা
c) জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি
d) ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ
ব্যাখ্যা: প্রমাণ হলো যখন আংশিক সত্যকে তার আপেক্ষিক প্রকৃতি স্বীকার করে জানা হয়।
৬. স্যাদবাদকে কী বলা যায় না?
a) আপেক্ষিকতাবাদ
b) সংশয়বাদ বা অজ্ঞেয়বাদ
c) বহুত্ববাদ
d) জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদ
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ হলো আপেক্ষিকতাবাদ, যা সত্যের বহুমুখীতাকে স্বীকার করে, কিন্তু এটি সংশয়বাদ বা অজ্ঞেয়বাদ নয়।
৭. অনোন্তবাদ বোঝাতে কোন উপমা ব্যবহার করা হয়?
a) নদী ও সাগর
b) অন্ধ ব্যক্তি ও হাতির উপমা
c) সূর্য ও চন্দ্র
d) পাখির উড়া
ব্যাখ্যা: অন্ধ ব্যক্তি ও হাতির উপমা দিয়ে বোঝানো হয় যে ভিন্ন দর্শন আংশিক সত্য ধরে।
৮. স্যাদবাদের সাথে কোন মতবাদ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত?
a) পুদগলবাদ
b) অনোন্তবাদ
c) ন্যায়বাদ
d) বৈশেষিকবাদ
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ অনোন্তবাদের জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রয়োগ।
৯. স্যাদবাদ কোন ধরনের সমস্যার সমাধান দেয়?
a) সত্যের একমাত্রতা
b) বিপরীত ধর্মের সমন্বয়
c) ঈশ্বরের অস্তিত্ব
d) কর্মের প্রকার
ব্যাখ্যা: স্যাদবাদ বিপরীত ধর্মগুলোর (যেমন অস্তি-নাস্তি) সমন্বয় করে বহুমুখী সত্য ব্যাখ্যা করে।
১০. জৈন মতে "অনেকান্তবাদ" কী?
a) বস্তুর একটিমাত্র ধর্ম থাকা
b) বস্তুর অনন্ত ধর্ম থাকা; কোনো একক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ সত্য নয়
c) সত্যের অজ্ঞেয়তা
d) ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার
ব্যাখ্যা: অনেকান্তবাদ হলো জৈন দর্শনের আধিবিদ্যক মতবাদ যা বলে যে বস্তুর অসংখ্য ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সপ্তভঙ্গী নয়
১১. সপ্তভঙ্গী নয়-এর মোট কয়টি বচন রয়েছে?
a) পাঁচটি
b) সাতটি
c) ছয়টি
d) আটটি
ব্যাখ্যা: সপ্তভঙ্গী নয়-এ সাতটি বচন রয়েছে যা কোনো বস্তুকে সাতটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করে।
১২. সপ্তভঙ্গী নয়-এ কোন বচনটি বর্ণনাতীততা নির্দেশ করে?
a) স্যাত অস্তি
b) স্যাত নাস্তি
c) স্যাত অবক্তব্য
d) স্যাত অস্তি নাস্তি
ব্যাখ্যা: এটি বস্তুর এমন ধর্মকে নির্দেশ করে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
১৩. সপ্তভঙ্গী নয়-এ তৃতীয় বচনটি কী?
a) স্যাত অস্তি
b) স্যাত নাস্তি
c) স্যাত অস্তি নাস্তি
d) স্যাত অবক্তব্য
ব্যাখ্যা: তৃতীয় বচনটি হলো 'স্যাত অস্তি নাস্তি' (কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং নেই) যা প্রথম ও দ্বিতীয়ের ক্রমিক সংযুক্তি।
১৪. "স্যাত অস্তি চ অবক্তব্যম" কোন ধরনের সংযুক্তি?
a) ক্রমিক সংযুক্তি
b) যুগপদ সংযুক্তি
c) সরল সংযুক্তি
d) কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যা: পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম বচনগুলো যুগপদ বা এককালীন সংযুক্তির উদাহরণ।
১৫. সপ্তভঙ্গী নয়-এর চতুর্থ বচন কোনটি?
a) স্যাত অস্তি নাস্তি
b) স্যাত অবক্তব্য
c) স্যাত অস্তি অবক্তব্য
d) স্যাত নাস্তি অবক্তব্য
ব্যাখ্যা: চতুর্থ বচনটি হলো 'স্যাত অবক্তব্য' (বর্ণনাতীত)।
১১. সপ্তভঙ্গী নয়-এর মোট কয়টি বচন রয়েছে?
a) পাঁচটি
b) সাতটি
c) ছয়টি
d) আটটি
ব্যাখ্যা: সপ্তভঙ্গী নয়-এ সাতটি বচন রয়েছে যা কোনো বস্তুকে সাতটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করে।
১২. সপ্তভঙ্গী নয়-এ কোন বচনটি বর্ণনাতীততা নির্দেশ করে?
a) স্যাত অস্তি
b) স্যাত নাস্তি
c) স্যাত অবক্তব্য
d) স্যাত অস্তি নাস্তি
ব্যাখ্যা: এটি বস্তুর এমন ধর্মকে নির্দেশ করে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
১৩. সপ্তভঙ্গী নয়-এ তৃতীয় বচনটি কী?
a) স্যাত অস্তি
b) স্যাত নাস্তি
c) স্যাত অস্তি নাস্তি
d) স্যাত অবক্তব্য
ব্যাখ্যা: তৃতীয় বচনটি হলো 'স্যাত অস্তি নাস্তি' (কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে আছে এবং নেই) যা প্রথম ও দ্বিতীয়ের ক্রমিক সংযুক্তি।
১৪. "স্যাত অস্তি চ অবক্তব্যম" কোন ধরনের সংযুক্তি?
a) ক্রমিক সংযুক্তি
b) যুগপদ সংযুক্তি
c) সরল সংযুক্তি
d) কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যা: পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম বচনগুলো যুগপদ বা এককালীন সংযুক্তির উদাহরণ।
১৫. সপ্তভঙ্গী নয়-এর চতুর্থ বচন কোনটি?
a) স্যাত অস্তি নাস্তি
b) স্যাত অবক্তব্য
c) স্যাত অস্তি অবক্তব্য
d) স্যাত নাস্তি অবক্তব্য
ব্যাখ্যা: চতুর্থ বচনটি হলো 'স্যাত অবক্তব্য' (বর্ণনাতীত)।
দ্রব্য (বস্তু)
১৬. জৈন দর্শনে কোনটি 'অনস্তিকায়' দ্রব্যের উদাহরণ?
a) জীব
b) পুদগল
c) কাল
d) আকাশ
ব্যাখ্যা: কাল (সময়) দেশ জুড়ে থাকে না, তাই এটি অনস্তিকায় দ্রব্য।
১৭. জৈন দর্শনে 'অধর্ম' দ্রব্যের কাজ কী?
a) গতির মাধ্যম
b) স্থিতির মাধ্যম
c) শব্দের উৎপত্তি
d) সময়ের ধারক
ব্যাখ্যা: অধর্ম জীব ও পুদগলের স্থিতির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
১৮. জৈন দর্শনে কোনটি অস্তিকায় দ্রব্য নয়?
a) জীব
b) পুদগল
c) কাল
d) ধর্ম
ব্যাখ্যা: কাল অনস্তিকায় দ্রব্য কারণ এটি স্থান দখল করে না।
১৯. জৈন দর্শনে জীবের প্রধান গুণ কী?
a) চৈতন্য
b) স্পর্শ
c) বর্তনা
d) গতি
ব্যাখ্যা: জীবের প্রধান বা স্বরূপ লক্ষণ হলো চৈতন্য বা চেতনা।
২০. 'বর্তনা' কোন দ্রব্যের বিশেষ গুণ?
a) আকাশ
b) জীব
c) পুদগল
d) কাল
ব্যাখ্যা: কালের বিশেষ গুণ হলো বর্তনা, যা পরিবর্তন বা স্থায়িত্বকে নির্দেশ করে।
২১. জৈন দর্শনে 'ধর্ম' দ্রব্যের কাজ কী?
a) স্থিতির মাধ্যম
b) গতির মাধ্যম
c) শব্দ সৃষ্টি
d) স্থান প্রদান
ব্যাখ্যা: ধর্ম জীব ও পুদগলের গতির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
২২. জৈন দর্শনে 'আকাশ' দ্রব্যের প্রধান কাজ কী?
a) গতির মাধ্যম
b) স্থিতির মাধ্যম
c) স্থান প্রদান
d) সময়ের ধারক
ব্যাখ্যা: আকাশ সব বস্তুর জন্য স্থান প্রদান করে।
২৩. জৈন দর্শনে পঞ্চ আস্তি-কায় কী কী?
a) জীব, পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, কাল
b) জীব, পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, আকাশ
c) জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র, অহিংসা, সত্য
d) কাল, নাম, আয়ু, গোত্র, অন্তরায়
ব্যাখ্যা: পঞ্চ আস্তি-কায় হলো পাঁচটি দ্রব্য যা স্থান দখল করে।
২৪. জৈন দর্শনে 'গুণ' ও 'পর্যায়' যথাক্রমে কী বোঝায়?
a) পরিবর্তনশীল ও স্থায়ী ধর্ম
b) স্থায়ী ও পরিবর্তনশীল ধর্ম
c) ভালো ও মন্দ ধর্ম
d) বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ধর্ম
ব্যাখ্যা: গুণ হলো বস্তুর স্থায়ী বা নিত্য ধর্ম এবং পর্যায় হলো পরিবর্তনশীল বা অনিত্য ধর্ম।
২৫. 'অজীব' দ্রব্য কোনগুলো?
a) শুধুমাত্র পুদগল
b) জীব ছাড়া বাকি সব
c) পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, আকাশ, কাল
d) শুধু জড় পদার্থ
ব্যাখ্যা: জীব ছাড়া বাকি পাঁচটি দ্রব্যই অজীব বা জড়।
১৬. জৈন দর্শনে কোনটি 'অনস্তিকায়' দ্রব্যের উদাহরণ?
a) জীব
b) পুদগল
c) কাল
d) আকাশ
ব্যাখ্যা: কাল (সময়) দেশ জুড়ে থাকে না, তাই এটি অনস্তিকায় দ্রব্য।
১৭. জৈন দর্শনে 'অধর্ম' দ্রব্যের কাজ কী?
a) গতির মাধ্যম
b) স্থিতির মাধ্যম
c) শব্দের উৎপত্তি
d) সময়ের ধারক
ব্যাখ্যা: অধর্ম জীব ও পুদগলের স্থিতির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
১৮. জৈন দর্শনে কোনটি অস্তিকায় দ্রব্য নয়?
a) জীব
b) পুদগল
c) কাল
d) ধর্ম
ব্যাখ্যা: কাল অনস্তিকায় দ্রব্য কারণ এটি স্থান দখল করে না।
১৯. জৈন দর্শনে জীবের প্রধান গুণ কী?
a) চৈতন্য
b) স্পর্শ
c) বর্তনা
d) গতি
ব্যাখ্যা: জীবের প্রধান বা স্বরূপ লক্ষণ হলো চৈতন্য বা চেতনা।
২০. 'বর্তনা' কোন দ্রব্যের বিশেষ গুণ?
a) আকাশ
b) জীব
c) পুদগল
d) কাল
ব্যাখ্যা: কালের বিশেষ গুণ হলো বর্তনা, যা পরিবর্তন বা স্থায়িত্বকে নির্দেশ করে।
২১. জৈন দর্শনে 'ধর্ম' দ্রব্যের কাজ কী?
a) স্থিতির মাধ্যম
b) গতির মাধ্যম
c) শব্দ সৃষ্টি
d) স্থান প্রদান
ব্যাখ্যা: ধর্ম জীব ও পুদগলের গতির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
২২. জৈন দর্শনে 'আকাশ' দ্রব্যের প্রধান কাজ কী?
a) গতির মাধ্যম
b) স্থিতির মাধ্যম
c) স্থান প্রদান
d) সময়ের ধারক
ব্যাখ্যা: আকাশ সব বস্তুর জন্য স্থান প্রদান করে।
২৩. জৈন দর্শনে পঞ্চ আস্তি-কায় কী কী?
a) জীব, পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, কাল
b) জীব, পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, আকাশ
c) জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র, অহিংসা, সত্য
d) কাল, নাম, আয়ু, গোত্র, অন্তরায়
ব্যাখ্যা: পঞ্চ আস্তি-কায় হলো পাঁচটি দ্রব্য যা স্থান দখল করে।
২৪. জৈন দর্শনে 'গুণ' ও 'পর্যায়' যথাক্রমে কী বোঝায়?
a) পরিবর্তনশীল ও স্থায়ী ধর্ম
b) স্থায়ী ও পরিবর্তনশীল ধর্ম
c) ভালো ও মন্দ ধর্ম
d) বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ধর্ম
ব্যাখ্যা: গুণ হলো বস্তুর স্থায়ী বা নিত্য ধর্ম এবং পর্যায় হলো পরিবর্তনশীল বা অনিত্য ধর্ম।
২৫. 'অজীব' দ্রব্য কোনগুলো?
a) শুধুমাত্র পুদগল
b) জীব ছাড়া বাকি সব
c) পুদগল, ধর্ম, অধর্ম, আকাশ, কাল
d) শুধু জড় পদার্থ
ব্যাখ্যা: জীব ছাড়া বাকি পাঁচটি দ্রব্যই অজীব বা জড়।
পুদগলবাদ (পরমাণুবাদ)
২৬. জৈন পরমাণুবাদে পরমাণুর কোন বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত নয়?
a) নিত্যতা
b) নিরংশতা
c) গুণগত পার্থক্য
d) অচ্ছেদ্যতা
ব্যাখ্যা: জৈন মতে সব পরমাণু গুণগতভাবে এক; তাদের মধ্যে স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণই বর্তমান।
২৭. জৈন পুদগলবাদে 'স্কন্ধ' কীভাবে তৈরি হয়?
a) জীবের চৈতন্য দ্বারা
b) পরমাণুর সংঘাতে
c) আকাশের গুণে
d) কালের বর্তনায়
ব্যাখ্যা: দুই বা ততোধিক পরমাণুর সংযোগে স্কন্ধ বা যৌগিক বস্তু তৈরি হয়।
২৮. জৈন পুদগলবাদের সাথে গ্রিক পরমাণুবাদের প্রধান পার্থক্য কী?
a) গ্রিক পরমাণুবাদ পরিমাণগত পার্থক্য স্বীকার করে
b) জৈনরা পরমাণুকে বিভাজ্য মনে করে
c) গ্রিকরা শব্দের উৎপত্তি পুদগল থেকে মনে করে
d) জৈনরা পরমাণুকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে
ব্যাখ্যা: গ্রিক পরমাণুবাদ পরমাণুর গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য স্বীকার করে, যা জৈন পুদগলবাদ করে না।
২৯. জৈন মতে, শব্দ কীসের পরিণাম?
a) আকাশ
b) কাল
c) জীব
d) পুদগল
ব্যাখ্যা: শব্দ পুদগলেরই একটি পরিণাম বা রূপান্তর।
৩০. জৈন মতে, পরমাণুর মধ্যে কোন চারটি গুণ বর্তমান?
a) শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস
b) স্পর্শ, রস, গন্ধ, বর্ণ
c) চৈতন্য, সুখ, দুঃখ, বীর্য
d) নিত্যতা, নিরংশতা, অক্রিয়তা, অরূপত্ব
ব্যাcardia: জৈন মতে সকল পরমাণুর মধ্যেই স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণ থাকে।
২৬. জৈন পরমাণুবাদে পরমাণুর কোন বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত নয়?
a) নিত্যতা
b) নিরংশতা
c) গুণগত পার্থক্য
d) অচ্ছেদ্যতা
ব্যাখ্যা: জৈন মতে সব পরমাণু গুণগতভাবে এক; তাদের মধ্যে স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণই বর্তমান।
২৭. জৈন পুদগলবাদে 'স্কন্ধ' কীভাবে তৈরি হয়?
a) জীবের চৈতন্য দ্বারা
b) পরমাণুর সংঘাতে
c) আকাশের গুণে
d) কালের বর্তনায়
ব্যাখ্যা: দুই বা ততোধিক পরমাণুর সংযোগে স্কন্ধ বা যৌগিক বস্তু তৈরি হয়।
২৮. জৈন পুদগলবাদের সাথে গ্রিক পরমাণুবাদের প্রধান পার্থক্য কী?
a) গ্রিক পরমাণুবাদ পরিমাণগত পার্থক্য স্বীকার করে
b) জৈনরা পরমাণুকে বিভাজ্য মনে করে
c) গ্রিকরা শব্দের উৎপত্তি পুদগল থেকে মনে করে
d) জৈনরা পরমাণুকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে
ব্যাখ্যা: গ্রিক পরমাণুবাদ পরমাণুর গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য স্বীকার করে, যা জৈন পুদগলবাদ করে না।
২৯. জৈন মতে, শব্দ কীসের পরিণাম?
a) আকাশ
b) কাল
c) জীব
d) পুদগল
ব্যাখ্যা: শব্দ পুদগলেরই একটি পরিণাম বা রূপান্তর।
৩০. জৈন মতে, পরমাণুর মধ্যে কোন চারটি গুণ বর্তমান?
a) শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস
b) স্পর্শ, রস, গন্ধ, বর্ণ
c) চৈতন্য, সুখ, দুঃখ, বীর্য
d) নিত্যতা, নিরংশতা, অক্রিয়তা, অরূপত্ব
ব্যাcardia: জৈন মতে সকল পরমাণুর মধ্যেই স্পর্শ, রস, গন্ধ ও বর্ণ—এই চারটি গুণ থাকে।
বন্ধন ও মুক্তি
৩১. বন্ধনের কোন প্রকারটি কষায়ের কারণে হয়?
a) দ্রব্য বন্ধন
b) ভাব বন্ধন
c) জীবন মুক্তি
d) বিদেহ মুক্তি
ব্যাখ্যা: ভাব বন্ধন কষায় (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ) দ্বারা আত্মার কলুষিত হওয়া।
৩২. জৈন দর্শনে কোনটি কর্মপুদগলের প্রবেশের পথ?
a) সংবর
b) নির্জরা
c) আশ্রব
d) মুক্তি
ব্যাখ্যা: আশ্রব হলো কর্মপুদগলের আত্মায় প্রবেশের পথ।
৩৩. 'সংবর' বলতে কী বোঝায়?
a) কর্মের প্রবাহ
b) কর্মপুদগলের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করা
c) কর্মের বিনাশ
d) মুক্তির উপায়
ব্যাখ্যা: সংবর হলো নতুন কর্মপুদগলের আত্মায় প্রবেশ বন্ধ করা।
৩৪. 'নির্জরা' বলতে কী বোঝায়?
a) নতুন কর্মের প্রবেশ
b) পূর্বের সঞ্চিত কর্মপুদগল বিনাশ করা
c) মুক্তির অবস্থা
d) নৈতিক জীবনযাপন
ব্যাখ্যা: নির্জরা হলো তপস্যা ও সাধনার মাধ্যমে পূর্বের সঞ্চিত কর্মপুদগল বিনাশ করা।
৩৫. জৈন মতে, কর্ম কত প্রকার?
a) ছয়
b) আট
c) দশ
d) বারো
ব্যাখ্যা: জৈন মতে কর্ম আট প্রকার—জ্ঞানাবরণীয়, দর্শনাবরণীয়, বেদনীয়, মোহনীয়, আয়ু, নাম, গোত্র এবং অন্তরায়।
৩৬. জৈন দর্শনে 'জীবন মুক্তি' কী?
a) দেহ ত্যাগের পর মুক্তি
b) দেহ থাকা অবস্থায় নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মুক্তি
c) মোক্ষ লাভের জন্য জন্ম নেওয়া
d) শুধুমাত্র ধ্যান দ্বারা মুক্তি
ব্যাখ্যা: জীবন মুক্তি হলো জীবদ্দশায় নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে ভাব বন্ধন থেকে মুক্তি।
৩৭. জৈন দর্শনে কোনটি সংবরের বিপরীত?
a) নির্জরা
b) আশ্রব
c) মুক্তি
d) ত্রিরত্ন
ব্যাখ্যা: আশ্রব কর্মপুদগলের প্রবেশ ঘটায়, সংবর তা রোধ করে।
৩৮. জৈন দর্শনে কোনটি দ্রব্য বন্ধনের পূর্বশর্ত?
a) জীবন মুক্তি
b) ভাব বন্ধন
c) নির্জরা
d) সম্যক দর্শন
ব্যাখ্যা: ভাব বন্ধন (আত্মার কলুষিত হওয়া) ঘটলে তবেই দ্রব্য বন্ধন (কর্মপুদগলের সংযুক্তি) হয়।
৩৯. জৈন দর্শনে 'সমাধি মরণ' বা 'সাঁথারা' কী?
a) হঠাৎ মৃত্যু
b) ধীর ও স্বেচ্ছামূলক অনশন দ্বারা দেহত্যাগ
c) যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যু
d) ধ্যান করার সময় মৃত্যু
ব্যাখ্যা: এটি জৈন সন্ন্যাসীদের একটি অনুশীলন, যেখানে ধীরে ধীরে খাদ্য-পানীয় ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করা হয়, যা মোক্ষের একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত।
৪০. জৈন দর্শনে 'তত্ত্ব' কয়টি?
a) পাঁচটি
b) সাতটি
c) নয়টি
d) দশটি
ব্যাখ্যা: জৈন দর্শনে সাতটি তত্ত্ব স্বীকৃত—জীব, অজীব, আশ্রব, বন্ধ, সংবর, নির্জরা এবং মোক্ষ।
৩১. বন্ধনের কোন প্রকারটি কষায়ের কারণে হয়?
a) দ্রব্য বন্ধন
b) ভাব বন্ধন
c) জীবন মুক্তি
d) বিদেহ মুক্তি
ব্যাখ্যা: ভাব বন্ধন কষায় (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ) দ্বারা আত্মার কলুষিত হওয়া।
৩২. জৈন দর্শনে কোনটি কর্মপুদগলের প্রবেশের পথ?
a) সংবর
b) নির্জরা
c) আশ্রব
d) মুক্তি
ব্যাখ্যা: আশ্রব হলো কর্মপুদগলের আত্মায় প্রবেশের পথ।
৩৩. 'সংবর' বলতে কী বোঝায়?
a) কর্মের প্রবাহ
b) কর্মপুদগলের প্রবেশ পথ রুদ্ধ করা
c) কর্মের বিনাশ
d) মুক্তির উপায়
ব্যাখ্যা: সংবর হলো নতুন কর্মপুদগলের আত্মায় প্রবেশ বন্ধ করা।
৩৪. 'নির্জরা' বলতে কী বোঝায়?
a) নতুন কর্মের প্রবেশ
b) পূর্বের সঞ্চিত কর্মপুদগল বিনাশ করা
c) মুক্তির অবস্থা
d) নৈতিক জীবনযাপন
ব্যাখ্যা: নির্জরা হলো তপস্যা ও সাধনার মাধ্যমে পূর্বের সঞ্চিত কর্মপুদগল বিনাশ করা।
৩৫. জৈন মতে, কর্ম কত প্রকার?
a) ছয়
b) আট
c) দশ
d) বারো
ব্যাখ্যা: জৈন মতে কর্ম আট প্রকার—জ্ঞানাবরণীয়, দর্শনাবরণীয়, বেদনীয়, মোহনীয়, আয়ু, নাম, গোত্র এবং অন্তরায়।
৩৬. জৈন দর্শনে 'জীবন মুক্তি' কী?
a) দেহ ত্যাগের পর মুক্তি
b) দেহ থাকা অবস্থায় নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে মুক্তি
c) মোক্ষ লাভের জন্য জন্ম নেওয়া
d) শুধুমাত্র ধ্যান দ্বারা মুক্তি
ব্যাখ্যা: জীবন মুক্তি হলো জীবদ্দশায় নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে ভাব বন্ধন থেকে মুক্তি।
৩৭. জৈন দর্শনে কোনটি সংবরের বিপরীত?
a) নির্জরা
b) আশ্রব
c) মুক্তি
d) ত্রিরত্ন
ব্যাখ্যা: আশ্রব কর্মপুদগলের প্রবেশ ঘটায়, সংবর তা রোধ করে।
৩৮. জৈন দর্শনে কোনটি দ্রব্য বন্ধনের পূর্বশর্ত?
a) জীবন মুক্তি
b) ভাব বন্ধন
c) নির্জরা
d) সম্যক দর্শন
ব্যাখ্যা: ভাব বন্ধন (আত্মার কলুষিত হওয়া) ঘটলে তবেই দ্রব্য বন্ধন (কর্মপুদগলের সংযুক্তি) হয়।
৩৯. জৈন দর্শনে 'সমাধি মরণ' বা 'সাঁথারা' কী?
a) হঠাৎ মৃত্যু
b) ধীর ও স্বেচ্ছামূলক অনশন দ্বারা দেহত্যাগ
c) যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যু
d) ধ্যান করার সময় মৃত্যু
ব্যাখ্যা: এটি জৈন সন্ন্যাসীদের একটি অনুশীলন, যেখানে ধীরে ধীরে খাদ্য-পানীয় ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করা হয়, যা মোক্ষের একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত।
৪০. জৈন দর্শনে 'তত্ত্ব' কয়টি?
a) পাঁচটি
b) সাতটি
c) নয়টি
d) দশটি
ব্যাখ্যা: জৈন দর্শনে সাতটি তত্ত্ব স্বীকৃত—জীব, অজীব, আশ্রব, বন্ধ, সংবর, নির্জরা এবং মোক্ষ।
কর্মের প্রকার ও প্রভাব
৪১. 'মোহনীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন
c) মোহ বা বিভ্রান্তি
d) আয়ু
ব্যাখ্যা: মোহনীয় কর্ম মোহ বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা আত্মাকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
৪২. 'নাম' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) জ্ঞান
b) দেহের গঠন
c) আয়ু
d) বিভ্রান্তি
ব্যাখ্যা: নাম কর্ম দেহের গঠন, আকৃতি, রং ইত্যাদি নির্ধারণ করে।
৪৩. 'জ্ঞানাবরণীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: জ্ঞানাবরণীয় কর্ম আত্মার জ্ঞানকে বাধা দেয়।
৪৪. 'গোত্র' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) দেহের গঠন
b) সামাজিক অবস্থান
c) আয়ু
d) জ্ঞান
ব্যাখ্যা: গোত্র কর্ম জীবের জন্ম ও সামাজিক অবস্থান নির্ধারণ করে।
৪৫. 'দর্শনাবরণীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন (সাধারণ অনুভব)
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: দর্শনাবরণীয় কর্ম আত্মার দর্শনশক্তিকে (সাধারণ অনুভব) বাধা দেয়।
৪৬. 'অন্তরায়' কর্ম কী সৃষ্টি করে?
a) জ্ঞানের বাধা
b) বাধা বা প্রতিবন্ধকতা
c) দেহের গঠন
d) মোহ
ব্যাখ্যা: অন্তরায় কর্ম জীবের শক্তি, দান, লাভ ইত্যাদিতে বাধা সৃষ্টি করে।
৪৭. 'বেদনীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) অনুভূতি (সুখ-দুঃখ)
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: বেদনীয় কর্ম সুখ ও দুঃখের অনুভূতি প্রভাবিত করে।
৪৮. 'আয়ু' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) দেহের গঠন
b) জীবনের দৈর্ঘ্য
c) সামাজিক অবস্থান
d) মোহ
ব্যাখ্যা: আয়ু কর্ম জীবের জীবনের মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে।
৪৯. কোন কর্মটি আত্মার বিশ্বাস ও আচরণকে কলুষিত করে?
a) জ্ঞানাবরণীয়
b) দর্শনাবরণীয়
c) মোহনীয়
d) বেদনীয়
ব্যাখ্যা: মোহনীয় কর্ম দুই প্রকার—দর্শন মোহনীয় (বিশ্বাসের বিকৃতি) এবং চারিত্র মোহনীয় (আচরণের বিকৃতি)।
৫০. আট প্রকার কর্মের মধ্যে কোন চারটি 'ঘাতী কর্ম' নামে পরিচিত?
a) নাম, গোত্র, আয়ু, বেদনীয়
b) জ্ঞানাবরণীয়, দর্শনাবরণীয়, মোহনীয়, অন্তরায়
c) বেদনীয়, মোহনীয়, আয়ু, অন্তরায়
d) জ্ঞানাবরণীয়, নাম, গোত্র, আয়ু
ব্যাখ্যা: এই চারটি কর্ম আত্মার অনন্ত জ্ঞান, দর্শন, সুখ ও বীর্যকে সরাসরি আঘাত করে, তাই এগুলোকে ঘাতী কর্ম বলা হয়।
৪১. 'মোহনীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন
c) মোহ বা বিভ্রান্তি
d) আয়ু
ব্যাখ্যা: মোহনীয় কর্ম মোহ বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা আত্মাকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
৪২. 'নাম' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) জ্ঞান
b) দেহের গঠন
c) আয়ু
d) বিভ্রান্তি
ব্যাখ্যা: নাম কর্ম দেহের গঠন, আকৃতি, রং ইত্যাদি নির্ধারণ করে।
৪৩. 'জ্ঞানাবরণীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: জ্ঞানাবরণীয় কর্ম আত্মার জ্ঞানকে বাধা দেয়।
৪৪. 'গোত্র' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) দেহের গঠন
b) সামাজিক অবস্থান
c) আয়ু
d) জ্ঞান
ব্যাখ্যা: গোত্র কর্ম জীবের জন্ম ও সামাজিক অবস্থান নির্ধারণ করে।
৪৫. 'দর্শনাবরণীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) দর্শন (সাধারণ অনুভব)
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: দর্শনাবরণীয় কর্ম আত্মার দর্শনশক্তিকে (সাধারণ অনুভব) বাধা দেয়।
৪৬. 'অন্তরায়' কর্ম কী সৃষ্টি করে?
a) জ্ঞানের বাধা
b) বাধা বা প্রতিবন্ধকতা
c) দেহের গঠন
d) মোহ
ব্যাখ্যা: অন্তরায় কর্ম জীবের শক্তি, দান, লাভ ইত্যাদিতে বাধা সৃষ্টি করে।
৪৭. 'বেদনীয়' কর্ম কী প্রভাবিত করে?
a) জ্ঞান
b) অনুভূতি (সুখ-দুঃখ)
c) আয়ু
d) গোত্র
ব্যাখ্যা: বেদনীয় কর্ম সুখ ও দুঃখের অনুভূতি প্রভাবিত করে।
৪৮. 'আয়ু' কর্ম কী নির্ধারণ করে?
a) দেহের গঠন
b) জীবনের দৈর্ঘ্য
c) সামাজিক অবস্থান
d) মোহ
ব্যাখ্যা: আয়ু কর্ম জীবের জীবনের মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে।
৪৯. কোন কর্মটি আত্মার বিশ্বাস ও আচরণকে কলুষিত করে?
a) জ্ঞানাবরণীয়
b) দর্শনাবরণীয়
c) মোহনীয়
d) বেদনীয়
ব্যাখ্যা: মোহনীয় কর্ম দুই প্রকার—দর্শন মোহনীয় (বিশ্বাসের বিকৃতি) এবং চারিত্র মোহনীয় (আচরণের বিকৃতি)।
৫০. আট প্রকার কর্মের মধ্যে কোন চারটি 'ঘাতী কর্ম' নামে পরিচিত?
a) নাম, গোত্র, আয়ু, বেদনীয়
b) জ্ঞানাবরণীয়, দর্শনাবরণীয়, মোহনীয়, অন্তরায়
c) বেদনীয়, মোহনীয়, আয়ু, অন্তরায়
d) জ্ঞানাবরণীয়, নাম, গোত্র, আয়ু
ব্যাখ্যা: এই চারটি কর্ম আত্মার অনন্ত জ্ঞান, দর্শন, সুখ ও বীর্যকে সরাসরি আঘাত করে, তাই এগুলোকে ঘাতী কর্ম বলা হয়।
ত্রিরত্ন ও পঞ্চমহাব্রত
৫১. ত্রিরত্নের মধ্যে কোনটি সঠিক বিশ্বাসকে নির্দেশ করে?
a) সম্যক জ্ঞান
b) সম্যক দর্শন
c) সম্যক চারিত্র
d) সম্যক কর্ম
ব্যাখ্যা: সম্যক দর্শন হলো তীর্থঙ্করদের প্রতি এবং জৈন তত্ত্বের প্রতি বিচারমূলক বিশ্বাস।
৫২. পঞ্চমহাব্রতের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত নয়?
a) অহিংসা
b) সত্য
c) দান
d) অপরিগ্রহ
ব্যাখ্যা: পঞ্চমহাব্রত হলো অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য, এবং অপরিগ্রহ। দান গৃহস্থদের জন্য একটি গুণ হলেও এটি পঞ্চমহাব্রতের অংশ নয়।
৫৩. জৈন দর্শনে 'অপরিগ্রহ' কী নির্দেশ করে?
a) অহিংসা
b) অধিকারহীনতা বা আসক্তি ত্যাগ
c) সত্যবাদিতা
d) ব্রহ্মচর্য
ব্যাখ্যা: অপরিগ্রহ হলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পত্তি বা জাগতিক বিষয়ে আসক্তি ত্যাগ করা।
৫৪. জৈন দর্শনে কোনটি ত্রিরত্নের অংশ?
a) নিষ্কাম কর্ম
b) সম্যক জ্ঞান
c) আশ্রব
d) নির্জরা
ব্যাখ্যা: ত্রিরত্ন হলো সম্যক দর্শন, সম্যক জ্ঞান, এবং সম্যক চারিত্র।
৫৫. 'অনুব্রত' কাদের জন্য প্রযোজ্য?
a) সন্ন্যাসী
b) গৃহস্থ
c) তীর্থঙ্কর
d) সিদ্ধ জীব
ব্যাখ্যা: অনুব্রত হলো গৃহস্থদের জন্য পঞ্চমহাব্রতের সরলীকৃত বা আংশিক রূপ।
৫৬. সম্যক চারিত্র অর্জনের প্রধান উপায় কী?
a) জ্ঞানার্জন
b) তীর্থঙ্করদের পূজা
c) পঞ্চমহাব্রত পালন
d) তপস্যা
ব্যাখ্যা: সম্যক চারিত্র বা সঠিক আচরণ পঞ্চমহাব্রত পালনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫৭. ত্রিরত্নের সঠিক ক্রম কোনটি?
a) জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র
b) দর্শন, জ্ঞান, চারিত্র
c) চারিত্র, দর্শন, জ্ঞান
d) জ্ঞান, চারিত্র, দর্শন
ব্যাখ্যা: প্রথমে সঠিক বিশ্বাস (দর্শন) আসে, তারপর সঠিক জ্ঞান এবং অবশেষে সেই জ্ঞান অনুযায়ী সঠিক আচরণ (চারিত্র) করা হয়।
৫৮. 'অস্তেয়' ব্রতটি কী নির্দেশ করে?
a) অধিকারহীনতা
b) চুরি না করা
c) সত্যবাদিতা
d) অহিংসা
ব্যাখ্যা: অস্তেয় ব্রতের অর্থ হলো যা দেওয়া হয়নি, তা গ্রহণ না করা বা চুরি না করা।
৫৯. জৈন দর্শনে 'ব্রহ্মচর্য' বলতে কী বোঝায়?
a) শুধুমাত্র বিবাহ না করা
b) ঈশ্বরের উপাসনা করা
c) সকল প্রকার ইন্দ্রিয় সংযম
d) শাস্ত্র অধ্যয়ন
ব্যাখ্যা: ব্রহ্মচর্য শুধু শারীরিক সংযম নয়, বরং মন, वचन ও কর্ম দ্বারা সকল ইন্দ্রিয়কে সংযত রাখা।
৬০. জৈন দর্শনে কোনটি গৃহস্থদের জন্য প্রযোজ্য?
a) পঞ্চমহাব্রত
b) অনুব্রত
c) নিষ্কাম কর্ম
d) বিদেহ মুক্তি
ব্যাখ্যা: অনুব্রত গৃহস্থদের জন্য নির্ধারিত আংশিক বা সীমিত ব্রত।
৫১. ত্রিরত্নের মধ্যে কোনটি সঠিক বিশ্বাসকে নির্দেশ করে?
a) সম্যক জ্ঞান
b) সম্যক দর্শন
c) সম্যক চারিত্র
d) সম্যক কর্ম
ব্যাখ্যা: সম্যক দর্শন হলো তীর্থঙ্করদের প্রতি এবং জৈন তত্ত্বের প্রতি বিচারমূলক বিশ্বাস।
৫২. পঞ্চমহাব্রতের মধ্যে কোনটি অন্তর্ভুক্ত নয়?
a) অহিংসা
b) সত্য
c) দান
d) অপরিগ্রহ
ব্যাখ্যা: পঞ্চমহাব্রত হলো অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচর্য, এবং অপরিগ্রহ। দান গৃহস্থদের জন্য একটি গুণ হলেও এটি পঞ্চমহাব্রতের অংশ নয়।
৫৩. জৈন দর্শনে 'অপরিগ্রহ' কী নির্দেশ করে?
a) অহিংসা
b) অধিকারহীনতা বা আসক্তি ত্যাগ
c) সত্যবাদিতা
d) ব্রহ্মচর্য
ব্যাখ্যা: অপরিগ্রহ হলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পত্তি বা জাগতিক বিষয়ে আসক্তি ত্যাগ করা।
৫৪. জৈন দর্শনে কোনটি ত্রিরত্নের অংশ?
a) নিষ্কাম কর্ম
b) সম্যক জ্ঞান
c) আশ্রব
d) নির্জরা
ব্যাখ্যা: ত্রিরত্ন হলো সম্যক দর্শন, সম্যক জ্ঞান, এবং সম্যক চারিত্র।
৫৫. 'অনুব্রত' কাদের জন্য প্রযোজ্য?
a) সন্ন্যাসী
b) গৃহস্থ
c) তীর্থঙ্কর
d) সিদ্ধ জীব
ব্যাখ্যা: অনুব্রত হলো গৃহস্থদের জন্য পঞ্চমহাব্রতের সরলীকৃত বা আংশিক রূপ।
৫৬. সম্যক চারিত্র অর্জনের প্রধান উপায় কী?
a) জ্ঞানার্জন
b) তীর্থঙ্করদের পূজা
c) পঞ্চমহাব্রত পালন
d) তপস্যা
ব্যাখ্যা: সম্যক চারিত্র বা সঠিক আচরণ পঞ্চমহাব্রত পালনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫৭. ত্রিরত্নের সঠিক ক্রম কোনটি?
a) জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র
b) দর্শন, জ্ঞান, চারিত্র
c) চারিত্র, দর্শন, জ্ঞান
d) জ্ঞান, চারিত্র, দর্শন
ব্যাখ্যা: প্রথমে সঠিক বিশ্বাস (দর্শন) আসে, তারপর সঠিক জ্ঞান এবং অবশেষে সেই জ্ঞান অনুযায়ী সঠিক আচরণ (চারিত্র) করা হয়।
৫৮. 'অস্তেয়' ব্রতটি কী নির্দেশ করে?
a) অধিকারহীনতা
b) চুরি না করা
c) সত্যবাদিতা
d) অহিংসা
ব্যাখ্যা: অস্তেয় ব্রতের অর্থ হলো যা দেওয়া হয়নি, তা গ্রহণ না করা বা চুরি না করা।
৫৯. জৈন দর্শনে 'ব্রহ্মচর্য' বলতে কী বোঝায়?
a) শুধুমাত্র বিবাহ না করা
b) ঈশ্বরের উপাসনা করা
c) সকল প্রকার ইন্দ্রিয় সংযম
d) শাস্ত্র অধ্যয়ন
ব্যাখ্যা: ব্রহ্মচর্য শুধু শারীরিক সংযম নয়, বরং মন, वचन ও কর্ম দ্বারা সকল ইন্দ্রিয়কে সংযত রাখা।
৬০. জৈন দর্শনে কোনটি গৃহস্থদের জন্য প্রযোজ্য?
a) পঞ্চমহাব্রত
b) অনুব্রত
c) নিষ্কাম কর্ম
d) বিদেহ মুক্তি
ব্যাখ্যা: অনুব্রত গৃহস্থদের জন্য নির্ধারিত আংশিক বা সীমিত ব্রত।
বিবিধ
৬১. জৈন দর্শন কোন ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত?
a) আস্তিক
b) নাস্তিক
c) উভয়ই
d) কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যা: জৈন দর্শন বেদকে প্রামাণ্য মানে না, তাই এটি নাস্তিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
৬২. জৈন দর্শনে 'তীর্থঙ্কর' কে?
a) ঈশ্বর
b) একজন সাধারণ সাধু
c) যিনি মোক্ষ লাভের পথ দেখান
d) একজন শাসক
ব্যাখ্যা: তীর্থঙ্কর হলেন সেই মহাত্মারা যারা আত্ম-উপলব্ধি এবং মোক্ষ লাভের পথ প্রদর্শন করেন।
৬৩. জৈন দর্শনে 'জিন' শব্দের অর্থ কী?
a) ঈশ্বর
b) রাজা
c) যিনি ইন্দ্রিয় ও মন জয় করেছেন
d) জ্ঞানী ব্যক্তি
ব্যাখ্যা: 'জিন' মানে বিজয়ী, যিনি কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ইত্যাদি রিপু এবং জীবনের সমস্ত দুঃখ জয় করেছেন।
৬৪. জৈন দর্শনের প্রধান দুটি সম্প্রদায় কী কী?
a) মহাযান ও হীনযান
b) দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর
c) আস্তিক ও নাস্তিক
d) শৈব ও বৈষ্ণব
ব্যাখ্যা: দিগম্বর (বস্ত্রহীন) ও শ্বেতাম্বর (শ্বেত বস্ত্র পরিধানকারী) হলো জৈন ধর্মের প্রধান দুটি সম্প্রদায়।
৬৫. 'কেবলা জ্ঞান' কী?
a) ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান
b) শাস্ত্রীয় জ্ঞান
c) অসীম ও সর্বজ্ঞ জ্ঞান
d) অনুমানভিত্তিক জ্ঞান
ব্যাখ্যা: কেবলা জ্ঞান হলো জৈন মতে মোক্ষপ্রাপ্ত আত্মার অসীম, নিরাবরণ এবং সর্বজ্ঞ জ্ঞান।
৬৬. 'ছয় লেশ্যা' কীসের সাথে সম্পর্কিত?
a) দ্রব্যাদির শ্রেণিবিভাগ
b) কর্মের প্রকারভেদ
c) আত্মার মানসিক বা আধ্যাত্মিক রঙ
d) মুক্তি লাভের পর্যায়
ব্যাখ্যা: লেশ্যা হলো আত্মার কর্মজনিত রঙ বা মানসিক অবস্থা, যা ছয় প্রকারের হয় (কৃষ্ণ, নীল, কপোট, তেজ, পদ্ম, শুক্ল)।
৬৭. জৈন দর্শনে 'আগম' কী?
a) পবিত্র নদী
b) জৈন ধর্মগ্রন্থ
c) একটি জৈন মন্দির
d) জৈন উৎসব
ব্যাখ্যা: আগম হলো জৈন ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি, যেখানে তীর্থঙ্করদের শিক্ষা লিপিবদ্ধ আছে।
৬৮. জৈন দর্শনে 'গুণস্থান' কীসের সাথে সম্পর্কিত?
a) দ্রব্যসমূহের শ্রেণিবিভাগ
b) কর্মের প্রকারভেদ
c) আত্মার আধ্যাত্মিক উন্নতির ধাপ
d) মুক্তির পর্যায়সমূহ
ব্যাখ্যা: গুণস্থান হলো আত্মার আধ্যাত্মিক উন্নতির ১৪টি ধাপ, যা বন্ধন থেকে মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।
৬৯. জৈন দর্শনে 'অহিংসা'র সর্বোচ্চ রূপ কী?
a) কোনো প্রাণীকে হত্যা না করা
b) শারীরিক বা মানসিক কষ্ট না দেওয়া
c) কথা, চিন্তা ও কর্মে কোনো প্রাণীর ক্ষতি না করা
d) শুধু উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণ
ব্যাখ্যা: জৈন ধর্মে অহিংসা শুধু শারীরিক ক্ষতি না করা নয়, বরং কথা, চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমেও কোনো জীবকে কষ্ট না দেওয়া।
৭০. জৈন দর্শনে 'শ্রাবক' কারা?
a) সন্ন্যাসী
b) সন্ন্যাসিনী
c) গৃহস্থ অনুসারী
d) শিক্ষক
ব্যাখ্যা: শ্রাবক হলেন জৈন ধর্মের গৃহস্থ অনুসারী, যারা অনুব্রত পালন করেন।
৬১. জৈন দর্শন কোন ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত?
a) আস্তিক
b) নাস্তিক
c) উভয়ই
d) কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যা: জৈন দর্শন বেদকে প্রামাণ্য মানে না, তাই এটি নাস্তিক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
৬২. জৈন দর্শনে 'তীর্থঙ্কর' কে?
a) ঈশ্বর
b) একজন সাধারণ সাধু
c) যিনি মোক্ষ লাভের পথ দেখান
d) একজন শাসক
ব্যাখ্যা: তীর্থঙ্কর হলেন সেই মহাত্মারা যারা আত্ম-উপলব্ধি এবং মোক্ষ লাভের পথ প্রদর্শন করেন।
৬৩. জৈন দর্শনে 'জিন' শব্দের অর্থ কী?
a) ঈশ্বর
b) রাজা
c) যিনি ইন্দ্রিয় ও মন জয় করেছেন
d) জ্ঞানী ব্যক্তি
ব্যাখ্যা: 'জিন' মানে বিজয়ী, যিনি কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ইত্যাদি রিপু এবং জীবনের সমস্ত দুঃখ জয় করেছেন।
৬৪. জৈন দর্শনের প্রধান দুটি সম্প্রদায় কী কী?
a) মহাযান ও হীনযান
b) দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর
c) আস্তিক ও নাস্তিক
d) শৈব ও বৈষ্ণব
ব্যাখ্যা: দিগম্বর (বস্ত্রহীন) ও শ্বেতাম্বর (শ্বেত বস্ত্র পরিধানকারী) হলো জৈন ধর্মের প্রধান দুটি সম্প্রদায়।
৬৫. 'কেবলা জ্ঞান' কী?
a) ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান
b) শাস্ত্রীয় জ্ঞান
c) অসীম ও সর্বজ্ঞ জ্ঞান
d) অনুমানভিত্তিক জ্ঞান
ব্যাখ্যা: কেবলা জ্ঞান হলো জৈন মতে মোক্ষপ্রাপ্ত আত্মার অসীম, নিরাবরণ এবং সর্বজ্ঞ জ্ঞান।
৬৬. 'ছয় লেশ্যা' কীসের সাথে সম্পর্কিত?
a) দ্রব্যাদির শ্রেণিবিভাগ
b) কর্মের প্রকারভেদ
c) আত্মার মানসিক বা আধ্যাত্মিক রঙ
d) মুক্তি লাভের পর্যায়
ব্যাখ্যা: লেশ্যা হলো আত্মার কর্মজনিত রঙ বা মানসিক অবস্থা, যা ছয় প্রকারের হয় (কৃষ্ণ, নীল, কপোট, তেজ, পদ্ম, শুক্ল)।
৬৭. জৈন দর্শনে 'আগম' কী?
a) পবিত্র নদী
b) জৈন ধর্মগ্রন্থ
c) একটি জৈন মন্দির
d) জৈন উৎসব
ব্যাখ্যা: আগম হলো জৈন ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি, যেখানে তীর্থঙ্করদের শিক্ষা লিপিবদ্ধ আছে।
৬৮. জৈন দর্শনে 'গুণস্থান' কীসের সাথে সম্পর্কিত?
a) দ্রব্যসমূহের শ্রেণিবিভাগ
b) কর্মের প্রকারভেদ
c) আত্মার আধ্যাত্মিক উন্নতির ধাপ
d) মুক্তির পর্যায়সমূহ
ব্যাখ্যা: গুণস্থান হলো আত্মার আধ্যাত্মিক উন্নতির ১৪টি ধাপ, যা বন্ধন থেকে মুক্তির দিকে নিয়ে যায়।
৬৯. জৈন দর্শনে 'অহিংসা'র সর্বোচ্চ রূপ কী?
a) কোনো প্রাণীকে হত্যা না করা
b) শারীরিক বা মানসিক কষ্ট না দেওয়া
c) কথা, চিন্তা ও কর্মে কোনো প্রাণীর ক্ষতি না করা
d) শুধু উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণ
ব্যাখ্যা: জৈন ধর্মে অহিংসা শুধু শারীরিক ক্ষতি না করা নয়, বরং কথা, চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমেও কোনো জীবকে কষ্ট না দেওয়া।
৭০. জৈন দর্শনে 'শ্রাবক' কারা?
a) সন্ন্যাসী
b) সন্ন্যাসিনী
c) গৃহস্থ অনুসারী
d) শিক্ষক
ব্যাখ্যা: শ্রাবক হলেন জৈন ধর্মের গৃহস্থ অনুসারী, যারা অনুব্রত পালন করেন।