সাংখ্য তত্ত্বসংকলন ও তত্ত্বপরিণাম (বিবর্তনবাদ)

 সাংখ্য তত্ত্বসংকলন ও তত্ত্বপরিণাম (বিবর্তনবাদ)


সাংখ্য তত্ত্বসংকলন ও তত্ত্বপরিণাম (বিবর্তনবাদ)



বিভিন্ন শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য বিষয় বিভিন্ন। এই প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বৌদ্ধদর্শনে প্রতিপাদ্য বিষয়কে বলা হয় ‘ধাতু’। ন্যায়বৈশেষিক দর্শনে বলা হয় ‘পদার্থ’। সাংখ্য দর্শনে প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তত্ত্ব’ নামে অভিহিত। এই ধাতুপদার্থ বা তত্ত্ব জগতের মৌলিক উপাদান বলে বিবেচিত হয়।
 .
সাংখ্য দর্শনে দুই প্রকার মূল তত্ত্ব স্বীকৃতযথা– নিত্য প্রকৃতি ও নিত্য পুরুষ। এই প্রকৃতি ও পুরুষএর সংযোগের ফলে সাক্ষাৎ ও পরম্পরাক্রমে উৎপন্ন হয় মোট তেইশ প্রকারের তত্ত্ব। ফলে সাংখ্য দর্শনে সর্বমোট পঁচিশ প্রকার তত্ত্ব স্বীকৃত। এই তত্ত্বগুলি পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব নামে দার্শনিক জগতে সুবিদিত। সাংখ্যকারিকাকার ঈশ্বরকৃষ্ণের তৃতীয় কারিকায় সাংখ্যের প্রতিপাদ্য বিষয়রূপে এই পঞ্চবিংশতি তত্ত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়
মূলপ্রকৃতিরবিকৃতিঃ মহদাদ্যাঃ প্রকৃতিবিকৃতয়ঃ সপ্ত।
ষোড়শকস্তু বিকারো ন প্রকৃতির্ন বিকৃতিঃ পুরুষঃ।। (সাংখ্যকারিকা)
অর্থাৎ মূলপ্রকৃতি কোন তত্ত্বের বিকার বা কার্য নয়। মহৎ আদিতে যাদের এমন সাতটি তত্ত্ব (যথা– মহৎঅহঙ্কার ও পঞ্চতন্মাত্র কোন তত্ত্বেরকারণ এবং (অন্য কোন তত্ত্বেরকার্য। ষোলটি তত্ত্ব (যেমন– মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় ও পঞ্চমহাভূতকিন্তু (কোন না কোন তত্ত্বের কেবলমাত্রকার্য। পুরুষ (কোন তত্ত্বেরকারণও নয় এবং (অন্য কোন তত্ত্বেরকার্যও নয়।
 .
সাধারণ দৃষ্টিতে কারিকাটি ইঙ্গিতপূর্ণ মনে হলেও সহজ কথায় সাংখ্যের পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব বা পঁচিশ প্রতিপাদ্য বিষয় হলো– (জ্ঞ বা পুরুষ, (অব্যক্ত বা মূলপ্রকৃতি বা প্রধান, (মহৎ বা বুদ্ধি, (অহংকার, (মনস্ বা মন (পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় (চক্ষুকর্ণনাসিকাজিহ্বাত্বক– এই পাঁচটি), (পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় (বাক্পাণিপাদপায়ুউপস্থ– এই পাঁচটি), (পঞ্চতন্মাত্র বা পঞ্চসূক্ষ্মভূত (শব্দস্পর্শরূপরসগন্ধ– এই পাঁচটি), (পঞ্চস্থূলভূত বা পঞ্চমহাভূত (ক্ষিতি বা পৃথিবীঅপ্ বা জলতেজ বা অগ্নিমরুৎ বা বায়ুআকাশ বা ব্যোম্– এই পাঁচটি)
 .
সাংখ্যমতে প্রকৃতি ও পুরুষ নিত্য ও অব্যক্ত। প্রকৃতি ও পুরুষএর সংযোগের ফলে মূলপ্রকৃতি থেকে সাক্ষাৎ অথবা পরম্পরা ক্রমে সৃষ্ট হয় ব্যক্ত শ্রেণীর অন্তর্গত তেইশ প্রকার তত্ত্ব। সাংখ্যকারিকার দ্বাবিংশতি বা বাইশতম কারিকায় এই উৎপত্তিক্রম দেখানো হয়েছে এভাবে
প্রকৃতের্মহাংস্ততোহহঙ্কারস্তস্মাদ্গণশ্চ ষোড়শকঃ।
তস্মাদপি ষোড়শকাৎ পঞ্চভ্যঃ পঞ্চভূতানি।। (সাংখ্যকারিকা২২)
অর্থাৎ প্রকৃতি থেকে মহৎমহৎ থেকে অহঙ্কারঅহঙ্কার থেকে (মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় ও পঞ্চতন্মাত্র– এইষোলটি গণ (বা বিকারএবং ষোলটি বিকারের অন্তর্গত পঞ্চতন্মাত্র থেকে (আকাশাদিপঞ্চমহাভূত (উৎপন্ন হয়)
 .
সাংখ্য দর্শনে দিক্ ও কালকে পৃথক তত্ত্ব বলে স্বীকার করা হয়নি। সাংখ্যমে দিক্ ও কাল অন্যতম মহাভূত আকাশতত্ত্বের অন্তর্গত। প্রকৃতি থেকে পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় পর্যন্ত তত্ত্বসমূহকে অর্থাৎ প্রকৃতিমহৎঅহংকারমনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় তত্ত্বগুলিকে সাংখ্য দর্শনে প্রত্যয় সর্গ বা বুদ্ধি সর্গ বলা হয়। অপরদিকে পঞ্চতন্মাত্র ও পঞ্চমহাভূতকে ভৌতিক সর্গ বলা হয়।
 .
এই পঞ্চবিংশতি তত্ত্বকে সাংখ্যশাস্ত্রে প্রধান চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঈশ্বরকৃষ্ণের উপরে উদ্ধৃত তৃতীয় কারিকার ব্যাখ্যাকল্পে বাচস্পতি মিশ্র তাঁর ‘সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদী’তে বলেন
সংক্ষেপতো হি শাস্ত্রার্থস্য চতস্রো বিধাঃ। কশ্চিদর্থঃ প্রকৃতিরেবকশ্চিদর্থো বিকৃতিরেবকশ্চিৎ প্রকৃতিবিকৃতিরেব কশ্চিদনুভয়রূপঃ।’– (সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদী)
অর্থাৎ : (সাংখ্যশাস্ত্রের (বিষয় বাতত্ত্ব সংক্ষেপে চার প্রকার। কোন তত্ত্ব কেবল প্রকৃতি (বা কারণ), কোন তত্ত্ব কেবল বিকৃতি (বা কার্য), কোন কোন তত্ত্ব প্রকৃতি ও বিকৃতি উভয়ই এবং কোন তত্ত্ব প্রকৃতিও নয় বিকৃতিও নয়।
 .
উপরিউক্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী সাংখ্যের পঞ্চবিংশতি তত্ত্বের চারটি বিভাগ হলো– (কেবল প্রকৃতি (কেবল কারণ), (কেবল বিকৃতি (কেবল কার্য), (প্রকৃতিবিকৃতি (কারণ ও কার্যও (অনুভয়রূপ বা প্রকৃতিও নয় বিকৃতিও নয় (কারণও নয়কার্যও নয়)
 .
(কেবল প্রকৃতি মূল প্রকৃতি হলো কেবল প্রকৃতি। যে তত্ত্ব কোন তত্ত্বের বিকার বা কার্য নয়কেবল প্রকৃতিতথা কেবল কারণ তাকে মূলপ্রকৃতি বলে। মূল প্রকৃতি কোনকিছুর কার্য নয়তা কেবল কারণরূপ প্রধান বলে বিবেচিত। প্রকৃতি সত্ত্বরজঃ ও তমঃ গুণের সাম্যাবস্থা বলে প্রকৃতি ত্রিগুণাত্মিকা। আবার সকল কার্যই যেহেতু প্রকৃতিতে অব্যক্ত অবস্থায় থাকেতাই প্রকৃতিকে অব্যক্তও বলা হয়। সাংখ্যমতে প্রকৃতি নিত্যউৎপত্তিহীন চরম কারণ। প্রকৃতির কারণান্তর স্বীকার করলে অনবস্থা দোষ দেখা দেয়। এই অনবস্থা দোষাবহ ও পরিহারযোগ্য। তাই প্রকৃতিকে অকারণ ও সকল কার্যের আদি কারণ বীজস্বরূপ বলা হয়। ব্যক্ত শ্রেণীর অন্তর্গত তেইশ প্রকার তত্ত্বের মূল কারণ মূলপ্রকৃতি।
 .
(প্রকৃতিবিকৃতি যে তত্ত্ব কোন তত্ত্বের কারণ রূপ প্রকৃতি এবং অন্য কোন তত্ত্বের কার্য রূপে বিকৃতি সেটিই প্রকৃতিবিকৃতি। মহৎঅহংকার ও পঞ্চতন্মাত্র (শব্দস্পর্শরূপরসগন্ধএই সপ্ত তত্ত্ব প্রকৃতিবিকৃতিঅর্থাৎ এগুলি কারণও বটেআবার কার্যও বটে। সাংখ্যমতে প্রধান থেকে মহৎতত্ত্বের উৎপত্তি হয়মহৎতত্ত্ব থেকে অহংকারের উৎপত্তি হয়অহংকার থেকে একাদশ ইন্দ্রিয় (মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়ও পঞ্চতন্মাত্রের উৎপত্তি হয় এবং পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চমহাভূতের উৎপত্তি হয়। ফলে
মহৎ অহংকারের কারণ রূপে প্রকৃতি এবং মূলপ্রকৃতির কার্য রূপে বিকৃতি। অহংকার মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় ও পঞ্চতন্মাত্রএর কারণ রূপে প্রকৃতি এবং মহৎএর কার্য রূপে বিকৃতি। এবং পঞ্চতন্মাত্র পঞ্চমহাভূতএর কারণ রূপে প্রকৃতি এবং অহংকারএর কার্য রূপে বিকৃতি।
এই কারণে মহদাদি সপ্ততত্ত্ব প্রকৃতিবিকৃতি বলে পরিচিত।
 .
(বিকার বা কেবল বিকৃতি যে তত্ত্ব কোন তত্ত্বের কারণ নয়কিন্তু অন্য কোন তত্ত্বের কার্যরূপে বিকৃতি তাকে বিকার বলে। ষোলটি তত্ত্ব কেবলমাত্র কার্যযেমন
মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় অহংকারএর কার্য রূপে বিকৃতি এবং পঞ্চমহাভূত পঞ্চতন্মাত্রএর কার্য রূপে বিকৃতি।
ক্ষিতিঅপ্তেজমরুৎব্যোম্– এই পাঁচটি হলো পঞ্চমহাভূত। চক্ষুকর্ণনাসিকাজিহ্বাত্বক্– এই পাঁচটি হলো পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়। বাক্পাণিপাদপায়ুউপস্থ– এই পাঁচটি হলো পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়। মন হলো উভয়ইন্দ্রিয়। মোট এই ষোলটি তত্ত্ব পদার্থান্তরের উপাদান কারণ হয় নাএইজন্য এগুলিকে কেবল কার্য বা বিকৃতি বলা হয়েছে।
 .
(অনুভয়রূপ বা প্রকৃতিও নয় বিকৃতিও নয় যে তত্ত্ব কোন তত্ত্বের কারণ বা প্রকৃতিও নয় এবং অন্য কোন তত্ত্বের কার্য বা বিকৃতিও নয়যেমন– পুরুষতত্ত্ব। যেহেতু পুরুষ কারও কার্য বা কারণ হয় নাসেহেতু পুরুষকে অনুভয়রূপ বলা হয়েছে। পুরুষ ব্যতীত সাংখ্যসম্মত চব্বিশটি তত্ত্ব সবিকার ও সক্রিয় তত্ত্ব। একমাত্র পুরুষই নির্বিকার ও নিষ্ক্রিয় তত্ত্ব।
 .
সাংখ্যমতে উপরিউক্ত পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব মূলত দ্বিবিধ তত্ত্বের অন্তর্গত। এই দ্বিবিধ তত্ত্বের একটি হলো প্রকৃতি এবং অপরটি হলো পুরুষ। এই কারণে সাংখ্য দর্শনকে বলা হয় দ্বৈতবাদী। সাংখ্যমতে প্রকৃতি ও পুরুষ উভয় তত্ত্বই অকারণঅলিঙ্গ এবং নিত্য। প্রকৃতি হলো বিষয় এবং পুরুষ বিষয়ী। পরিণামী প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও পরিবর্তনের নেপথ্যে পুরুষ হলো এক অপরিণামীঅপরিবর্তনীয় সত্তা। পুরুষ প্রকৃতির পরিপূরক। তাই সাংখ্য দর্শনে পুরুষকে নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতিতে যার অভাবতাই পুরুষে বর্তমান। সাংখ্যকারিকার ঈশ্বরকৃষ্ণও প্রকৃতির বিরুদ্ধরূপে পুরুষকে বর্ণনা করেছেন
ত্রিগুণমবিবেকি বিষয়ঃ সামান্যমচেতনং প্রসবধর্ম্মি।
ব্যক্তং তথা প্রধানং তদ্বিপরীতস্তথা চ পুমান্ ।।’– (সাংখ্যকারিকা১১)
অর্থাৎ ব্যক্ত তত্ত্ব মাত্রই সত্ত্বরজঃ ও তমঃ গুণাত্মক (হওয়ায়ত্রিগুণ থেকে অভিন্নভোগ্য বা বিষয় (অনেক পুরুষের জ্ঞানে গৃহীত হবার যোগ্য), অচেতন ও পরিমাণস্বভাব। অব্যক্ত বা প্রকৃতিও সেইরূপ। কিন্তু জ্ঞ বা পুরুষ সেইরূপ হওয়া সত্ত্বেও (ব্যক্ত ও অব্যক্ত তত্ত্ব মাত্রেরবিপরীত।
 .
উল্লেখ্যব্যক্ত (প্রকৃতিবিকৃতি ও বিকৃতি বা বিকারও অব্যক্ত (মূলপ্রকৃতি বা প্রধান)-এর লক্ষণ দেখাতে গিয়ে সাংখ্যকারিকাকার ঈশ্বরকৃষ্ণ দশম কারিকায় বলছেন
হেতুমদনিত্যমব্যাপি সক্রিয়মনেকমাশ্রিতং লিঙ্গম্ ।
সাবয়বং পরতন্ত্রং ব্যক্তং বিপরীতমব্যক্তম্ ।।’– (সাংখ্যকারিকা১০)
অর্থাৎ ব্যক্ত (তত্ত্ব মাত্রইহেতুমৎ বা কারণযুক্তঅনিত্যঅব্যাপি বা কারণের একাংশে স্থিতসক্রিয় বা চলনক্রিয়াযুক্তঅনেকআশ্রিতলিঙ্গ বা লয়শীল ও অনুমাপকসাবয়ব বা অবয়বযুক্ত এবং পরাধীন। তার বিপরীত (ধর্মবিশিষ্ট তত্ত্বইঅব্যক্ত।
 .
সাংখ্যশাস্ত্রে পঞ্চবিংশতি তত্ত্বগুলিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। যেমনসাংখ্যকারিকার (ইতোপূর্বে উদ্ধৃতদ্বিতীয় কারিকায় সাংখ্যশাস্ত্রে স্বীকৃত তত্ত্বগুলিকে আবার তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছেযথা– ব্যক্তঅব্যক্ত ও জ্ঞ। দ্বাবিংশতি বা বাইশতম কারিকায় প্রকৃতি ও পুরুষএর সংযোগের ফলে মূলপ্রকৃতি থেকে সাক্ষাৎ বা পরম্পরা ক্রমে সৃষ্ট যে তেইশ প্রকার তত্ত্বের উল্লেখ রয়েছেযেমন– মহৎ বা বুদ্ধিঅহংকারমনস্ বা মনপঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়পঞ্চতন্মাত্র এবং পঞ্চমহাভূতসেগুলিই ব্যক্ত শ্রেণীর অন্তর্গত। অব্যক্ত বা মূলপ্রকৃতি এই ব্যক্ত তত্ত্বগুলির মূলকারণএবং জ্ঞ বা পুরুষ এই অব্যক্ত ও ব্যক্ত তত্ত্বগুলির বিপরীত।
 .
সাংখ্যদর্শনকে দ্বৈতবাদী ও বস্তুবাদী বলা হয়। এইমতে চৈতন্যস্বরূপ পুরুষ যেমন সত্যতেমনি জড় প্রকৃতিও সত্য। উভয়ই পরিণামশীল জড়জগতের মূল ও আদি কারণ। এককভাবে উভয়ই জগৎ সৃষ্টিতে অসমর্থ। সাংখ্যমতে পুরুষের সংস্পর্শে প্রকৃতির যে পরিণাম ঘটেতাই জগৎ। আবার প্রলয়কালে এই জগৎ অব্যক্ত প্রকৃতিতেই লীন হয়ে যায়।
নবীনতর পূর্বতন

نموذج الاتصال