হরিভদ্র সূরি’র ষড়্দর্শনসমুচ্চয় ও চার্বাকের অনুমান-খণ্ডন
চার্বাকদের অনুমান-খণ্ডন বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই পর্যালোচনার চেষ্টা করেছি যে মাধবাচার্যের বর্ণনা সংশয়-সাপেক্ষ। অন্যান্য দার্শনিকদের রচনাতে তাই হয়তো চার্বাকের অনুমান-খণ্ডন সংক্রান্ত অমন বিস্তৃত, বিদগ্ধ ও যুক্তিকণ্টকিত আলোচনার পরিচয় পাওয়া যায় না। বরং তার বদলে, চার্বাকদের অনুমান-খণ্ডনের উদ্দেশ্য এবং উপায়– উভয়েরই অনেকটা সাদামাটা ও সহজবোধ্য পরিচয় পাওয়া যায়।
অষ্টম শতকের প্রখ্যাত জৈন দার্শনিক হরিভ্রদ্রসূরি তাঁর বিখ্যাত ‘ষড়্দর্শনসমুচ্চয়’ গ্রন্থে চার্বাক-বর্ণনায় লোকায়তিক-মত প্রসঙ্গে (ইতঃপূর্বে আংশিক-উদ্ধৃত হয়েছে) বলেন–
‘লোকায়তা বদন্ত্যেবং নাস্তি দেবো ন নির্বৃতিঃ।
ধর্মাধর্মৌন বিদ্যেতে ন ফলং পুণ্যপাপয়োঃ।।
এতাবানেব লোকোহয়ং যাবানিন্দ্রিয়গোচরঃ।
ভদ্রে! বৃকপদং পশ্য যদ্বদন্তি বহুশ্রুতাঃ’।। (ষড়্দর্শনসমুচ্চয়-৮১)
অর্থাৎ : লোকায়তরা বলেন, দেবতা বলে কিছু নেই, মোক্ষ বলেও নয়। ধর্ম ও অধর্ম বলে কিছু হয় না, পুণ্য ও পাপের ফল বলেও নয়। যতটুকু ইন্দ্রিয়গোচর ততটুকুই ইহলোক (অতএব সত্য)। হে ভদ্রে! নেকড়ের পায়ের চিহ্ন দেখ এবং তা থেকে মহাপণ্ডিতেরাও কী বলেন (ভেবে দেখ)।
হরিভদ্রর গ্রন্থটি শ্লোকে লেখা। কিন্তু শ্লোকগুলি সহজ ও প্রাঞ্জল হলেও হরিভদ্রর রচনা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বলে এগুলির বিশদার্থ বোঝার জন্য তাঁর ব্যাখ্যাকার মণিভদ্র এবং গুণরত্নর লেখার উপর নির্ভর করতে হয়। সন্দেহ নেই যে প্রত্যক্ষবাদী চার্বাকদের বস্তুবাদী লোকায়তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচ্য করেই এ-শ্লোকটি রচিত হয়েছে। কিন্তু শেষোক্ত উক্তি– ‘ভদ্রে! বৃকপদং পশ্য যদ্বদন্তি বহুশ্রুতাঃ’ অর্থাৎ, ‘হে ভদ্রে! নেকড়ের পায়ের চিহ্ন দেখ এবং তা থেকে মহাপণ্ডিতেরাও কী বলেন (ভেবে দেখ)’– বেশ হেঁয়ালিপূর্ণ বলে মনে হয়। ব্যাখ্যাকার গুণরত্ন এই হেঁয়ালির তাৎপর্যটুকু বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে বলছেন–
“এই বিষয়ে চার্বাক সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি গল্প চালু আছে। জনৈক ব্যক্তি নাস্তিকমতের বিশেষ সমর্থক ছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ছিলেন আস্তিকমতে বিশ্বাসী। লোকটি নানা যুক্তি দিয়ে স্ত্রীকে নিজমতের প্রতি টানবার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুক্তি দিয়ে কিছুতেই বোঝাতে না পেরে লোকটি এক মতলব আঁটলেন। গভীর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নগরের বাইরে গেলেন এবং বললেন, ‘এই নগরে তো অনুমান প্রভৃতি পরোক্ষ জ্ঞানের সমর্থক অনেক বড়বড় পণ্ডিত আছেন। কিন্তু তাঁদের বুদ্ধির দৌড় তোমাকে দেখাব।’ এই বলে নগরদ্বার থেকে শুরু করে চৌমাথা পর্যন্ত ধুলোর উপর নেকড়ের পায়ের ছাপ এঁকে ফিরলেন। পরদিন সকালে আস্তিক মহাপণ্ডিতেরা মিলিত হয়ে আলোচনা করতে লাগলেন : ‘নিশ্চয়ই নগরে নেকড়ে বাঘ এসেছিল, নইলে পায়ের ছাপ পড়ল কী করে?’ তখন তাদের দেখিয়ে নাস্তিক তাঁর স্ত্রীকে বললেন : ‘এঁরা আসল কথা না-জেনেও সবাই মিলে একই সিদ্ধান্ত করছেন। স্বর্গ ইত্যাদি বিষয়েও এঁরা একই রকম আচরণ করেন। নিজেদের মতের সমর্থনে কিঞ্চিৎ অনুমান বা আগম উল্লেখ করে স্বর্গ প্রভৃতির লোভ দেখিয়ে সাধারণ লোককে ঠকান। সুতরাং এঁদের কথা স্বীকার করবার কোনো কারণ নেই।’ ফলে স্ত্রী স্বামীর মত মেনে নিলেন।”- (সূত্র: দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা-৪৮)
গল্পটা মজাদার বটে। পাণ্ডিত্যের জাঁকজমক বা কূটযুক্তি অবতারণার কোনো প্রয়াস নেই, তবুও একরকম যেন পরীক্ষামূলকভাবে সরাসরি দেখিয়ে দেয়া গেলো যে মহাপণ্ডিতেরাও অনুমান, শাস্ত্র প্রভৃতির দোহাই দেখিয়ে অদৃষ্ট, আত্মা, পরলোক প্রভৃতি অপ্রত্যক্ষ বিষয়ে যে-সব কথা বলেন তা আসলে অসার। দেবীপ্রসাদের মতে এ-জাতীয় গল্প চার্বাকদের মধ্যে চালু থাকার সম্ভাবনাও উপেক্ষা করা যায় না, কেননা গল্পটার সঙ্গে তাদের প্রামাণিক লোকগাথাগুলির মূল প্রবণতার বেশ মিল আছে।
কিন্তু এমন বহুশ্রুত ব্যক্তিরাও অনুমান, আগম প্রভৃতির দোহাই দেখিয়ে প্রত্যক্ষগোচর ইহলোকের বদলে অপ্রত্যক্ষ পরলোকের প্রতি কেন সাধারণ লোককে মনোযোগী করতে চান? উত্তরে চার্বাকেরা কী বলবেন তা হরিভদ্রসূরি’র অপর ব্যাখ্যাকার মণিভদ্র মোটের উপর বিস্তৃতভাবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে চার্বাক বলবেন–
‘তবু যে-সব বাচাল ব্যক্তিরা শুধু প্রত্যক্ষ জ্ঞানের স্বীকারে বিরত না হয়ে অনুমান, শাস্ত্র ইত্যাদির প্রমাণ দেখিয়ে বলেন যে, পুণ্য ও পাপের ফলে স্বর্গসুখ ও নরকদুঃখ ঘটে, তাদের উদ্দেশ্য (চার্বাক) বলছেন– ভদ্রে, নেকড়ের পায়ের ছাপ দেখ। (তাৎপর্য এই যে) জনৈক ব্যক্তির বউ নেকড়ের পায়ের ছাপ দেখবার কৌতুহল প্রকাশ করেছিল। ঐ ব্যক্তি ধুলোর উপর আঙুল দিয়ে নেকড়ের পায়ের ছাপ এঁকে বলল : ভদ্রে, বৃকপাদ দেখ। (বক্তব্য এই যে) যেমন ঐ ব্যক্তি তার মুগ্ধ পত্নীর বৃকপাদ দেখার আগ্রহ প্রকৃত বৃকপাদ না-দেখিয়ে শুধুমাত্র নিজের আঙুল দিয়ে আঁকা ছবি দেখিয়ে অপরকে প্রবঞ্চনা করতে পারে, তেমনি দক্ষ, কপট ধার্মিক ব্যক্তিরাও কিছু কিছু অনুমান, শাস্ত্র প্রভৃতির দোহাই দেখিয়ে সাধারণ লোকের মনে স্বর্গসুখ ইত্যাদির প্রলোভন জাগিয়ে ভক্ষ্য-অভক্ষ্য, গ্রাহ্য-ত্যাজ্য ইত্যাদি বিষয়ে সংকটে ঠেলে দেয় এবং ধর্মের প্রতি অন্ধ মোহ সঞ্চার করে। পরমার্থতত্ত্ব-বেত্তা বলে প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরা এইভাবেই (প্রত্যক্ষ ছাড়াও অনুমান, শাস্ত্র, প্রভৃতি) প্রমাণের দোহাই দেখিয়ে থাকে।’- (সূত্র: দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা-৪৯)
প্রাচীনকালের বস্তুবাদী হলেও চার্বাকদের এ-জাতীয় বক্তব্যের সঙ্গে আধুনিক বস্তুবাদীর বক্তব্যেও বেশ কিছুটা মিল সুযোগ আছে বলে দেবীপ্রসাদ মন্তব্য করেন। তাছাড়া এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, জৈন দার্শনিকদের উক্তিগুলি থেকে মনে হয় চার্বাকদের বিশেষ আস্থা প্রত্যক্ষর উপর এবং তাঁরা এই অর্থেই অনুমান-প্রমাণের বিরোধী যে, অনুমানের দোহাই দিয়ে অনেকে অপ্রত্যক্ষ পরলোকাদির– তথা ধর্মাধর্ম ও পাপপুণ্যের– কথা বলে থাকে। এ-প্রেক্ষিতেই বোধকরি ‘ষড়দর্শনসমুচ্চয়ে’র ভাষ্যকার মণিভদ্র’র স্পষ্ট উক্তি–
‘এবম্ অমী অপি ধর্মছদ্মধূর্তাঃ পরবঞ্চনপ্রবণাঃ যৎকিংচিৎ অনুমানাদিদার্ঢ্যম্ আদর্শ্য ব্যর্থং মুগ্ধজনান্ স্বর্গাদিপ্রাপ্তিলভ্য ভোগাভোগপ্রলোভনয়া ভক্ষ্যাভক্ষ্যগম্যাগম্যহেয়োপাদেয়াদি সংকটে পাতয়ন্তি, মুগ্ধধার্মিককান্ধ্যম্ চ উৎপাদয়ন্তি।’
অর্থাৎ :
লোকায়তিকদের মতে প্রত্যক্ষ-পরায়ণতা ধর্মপ্রবঞ্চনার প্রতিষেধক, কেননা অনুমান, আগম (শাস্ত্র) প্রভৃতির নজির দেখিয়ে পরবঞ্চনাপ্রবণ ধর্মছদ্মধূর্তেরা সাধারণ মানুষের মনে স্বর্গাদিপ্রাপ্তি ইত্যাদির প্রলোভন জাগিয়ে ভক্ষ্য-অভক্ষ্য, গ্রাহ্য-ত্যাজ্য ইত্যাদি বিষয়ে সংকটে ঠেলে দেয় এবং ধর্ম সংক্রান্ত অন্ধ মোহের সঞ্চার করে, এই কারণেই প্রত্যক্ষ ছাড়া অন্য প্রমাণ স্বীকার করা সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ নয়।
তার মানে, আধ্যাত্মবাদী দর্শনের পেছনে লোকবঞ্চনার এক আয়োজন সক্রিয়। চার্বাক বিরোধী হয়েও মণিভদ্রের এই চমৎকার ব্যাখ্যাটি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে তাই আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে যে, তিনি একাধারে একজন ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী দার্শনিকও। ফলে ব্রাহ্মণ্যবাদের স্বরূপটিও তাঁর উক্তি থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এবং মণিভদ্রের এই ব্যাখ্যা স্বীকার্য হলে এটাও মানতে হবে যে, সেকালের লোকায়তিকেরাও দার্শনিক মতকে একেবারে নির্ভেজাল তত্ত্বজিজ্ঞাসার পরিচায়ক বলে মেনে নেননি। দার্শনিক মতের সঙ্গে ধর্মীয় রাজনীতির এরকম যোগাযোগ তাঁদের চেতনারও অগোচর ছিলো না। চার্বাকদের নামে প্রচলিত প্রামাণিক লোকাগাথাগুলিই এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ। কিন্তু চার্বাকেরা ঐকান্তিক অর্থে অনুমান-বিরোধী কিনা– সে-কথা জৈন দার্শনিকদের রচনায় স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয়নি। অর্থাৎ পরলোকের প্রমাণে অনুমানের বিরোধিতা করলেও চার্বাক প্রত্যক্ষগোচর ইহলোক প্রসঙ্গেও অনুমান অগ্রাহ্য করতেন– এমন কোনো স্পষ্ট কথা হরিভদ্র ও তাঁর ব্যাখ্যাকারদের রচনায় পাওয়া যায় না বলে দেবীপ্রসাদ মন্তব্য করেছেন। পক্ষান্তরে, এ-প্রসঙ্গে দেবীপ্রসাদ আরো বলেন,–
‘ইহলোক-সর্বস্ব দার্শনিকের পক্ষে ইহলৌকিক বিষয়ে অনুমান মানায় অন্তত কোনো অনিবার্য বাধা থাকার কথা নয়। অবশ্যই, নেকড়ের পায়ের ছাপ থেকে নেকড়ের আগমন ইহলৌকিক বিষয়েরই অনুমান। কিন্তু আলোচ্য উপাখ্যানে দৃষ্টান্তটির তাৎপর্য এই হতে পারে যে, যে-কোনো অনুমানের উপর নির্ভর করা নিরাপদ নয়। বস্তুতপক্ষে, আঙুলে আঁকা নেকড়ের পায়ের ছাপ সযত্নে পরীক্ষা করলে বোঝবার সম্ভাবনা থাকে, ওগুলি আসল নেকড়ের পায়ের ছাপ নয়; কিন্তু বিদগ্ধ ব্যক্তিরাও তা না-করে অসতর্কভাবে এবং হয়তো কিছুটা আতঙ্কের প্রভাবে তাড়াহুড়োয় নেকড়ের পায়ের ছাপের মতো চিহ্ন থেকেই ভেবে বসলেন যে, সত্যিই নেকড়ে এসেছিল। এ জাতীয় অসতর্ক অনুমানই স্বর্গ-নরক পাপ-পুণ্য ধর্ম-অধর্ম প্রভৃতি অনুমানের ভিত্তি। অবশ্যই জৈন লেখকদের উদ্ধৃতিগুলির মধ্যে এই মন্তব্য নেই। তাঁদের উক্তিগুলির মূল কথা হলো, চার্বাক মতে অনুমান, শাস্ত্রবচন প্রভৃতির দোহাই দিয়ে প্রত্যক্ষগোচর বাস্তব পৃথিবীর বাস্তব সুখের প্রতি উদাসীন হয়ে কাল্পনিক পাপ-পুণ্য ও পরলোক প্রভৃতির কথায় কান দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়, কেননা অনুমান সব সময় নির্ভরযোগ্য নয়। কিন্তু অনুমান কোনো সময়ই নির্ভরযোগ্য হতে পারে না– কিংবা অনুমানমাত্রই অসঙ্গত– এ-জাতীয় কোনো কথা হরিভদ্র, গুণরত্ন ও মণিভদ্র সরাসরি বলেন নি। তাঁরা যা বলেছেন তা থেকে শুধু এটুকুই পরিষ্কার বোঝা যায় যে, অনুমান ও শাস্ত্রবচনের উপর নির্ভর করে পরলোকাদিতে বিশ্বাস একেবারেই কাজের কথা নয়। নেকড়ের পায়ের ছাপ সংক্রান্ত উপাখ্যান থেকে হয়তো আরো বোঝা যায়, চার্বাকমতে দৃষ্টান্ত-বিশেষে এমনকি সাধারণ লৌকিক অনুমানও ভ্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তার তাৎপর্য এই হওয়া অনিবার্য নয় যে, অতএব অনুমানমাত্রই– এমনকি সবরকম লৌকিক অনুমানও– অগ্রাহ্য হতে বাধ্য। এই কথার পক্ষে এখানে একটি সহজ যুক্তি দেখানো যেতে পারে। কোনো উল্লেখযোগ্য দার্শনিক এমন কথা বলেননি যে চার্বাক প্রত্যক্ষ-প্রমাণ অস্বীকার করেন। কিন্তু লৌকিক বিষয়েই দৃষ্টান্ত-বিশেষে তো প্রত্যক্ষও ভ্রান্ত জ্ঞানের জনক হতে পারে : মরীচিকায় জলদর্শন, রজ্জুতে সর্পদর্শন প্রভৃতি ভ্রান্ত প্রত্যক্ষর নানান নমুনা তো ভারতীয় দর্শন-সাহিত্যে সুপ্রসিদ্ধ। অথচ ভ্রান্ত প্রত্যক্ষর নজির দেখিয়ে প্রত্যক্ষমাত্রকেই অস্বীকার করবার উপদেশ চার্বাকমত হিসাবে কোথাও পাওয়া যায় না। তেমনি, দৃষ্টান্ত-বিশেষে লৌকিক অনুমান ভ্রান্ত বলেই চার্বাকমতে সমস্ত লৌকিক অনুমানই ভ্রান্ত হতে বাধ্য– চার্বাকমতের এ-জাতীয় ব্যাখ্যা অন্তত হরিভদ্র প্রভৃতির অভিপ্রেত হতে বাধ্য নয়।’- (ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা-৪৯-৫০)
Tags
চার্বাক দর্শন